চয়ন রায়ঃ কলকাতাঃ জুনিয়র চিকিৎসকদের শর্ত অনুযায়ী, তারা ত্রিশ জন প্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে নবান্নে যেতে চান। আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই সিদ্ধান্তে রাজি হয়ে যান। কিন্তু দ্বিতীয় শর্ত অনুয়ায়ী জুনিয়র চিকিৎসকরা নবান্নে হওয়া বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচার চাইছেন। এদিকে নবান্ন থেকে রাজ্যের মুখ্যসচীব মনোজ পন্থ ও রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, ‘‘সরকার সরাসরি সম্প্রচারে রাজি হয়নি।’’
মনোজ পন্থ জানান, ‘‘৫টা থেকে মুখ্যমন্ত্রী নবান্নের সভাঘরে অপেক্ষা করছেন। জুনিয়র চিকিৎসকরা নির্ধারিত সময়ের বেশ কিছুটা পরে পৌঁছেছেন। জুনিয়র চিকিৎসকদের মোট ৩২ জন প্রতিনিধি এসেছেন। তবে একটি বিষয়ে সমস্যা রয়েছে। তারা চাইছেন, বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচার। যার কোনো প্রয়োজনীয়তা আছে বলে সরকার মনে করছে না।’’ রাজীব কুমার বলেন, ‘‘যেকোনো আনুষ্ঠানিক বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচার হয় না। এক্ষেত্রেও আমি তার কোনো প্রয়োজনীয়তা দেখতে পাচ্ছি না। ওঁদের অনেক বার বোঝানো হয়েছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
পনেরো জনকে আসতে বলা হয়েছিল। বত্রিশ জন এসেছেন। আমাদের খোলা মনে আলোচনার সদিচ্ছা রয়েছে বলেই অনুমতি দিয়েছি। আমাদের উচ্চপদস্থ কর্তারা কথা বলেছেন। কিন্তু ওঁরা রাজি হননি। মুখ্যমন্ত্রী নিজে বিকেল ৫টা থেকে এটার জন্য অপেক্ষা করছেন।’’ প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার থেকে রাজ্যের জুনিয়র চিকিৎসকেরা আর জি কর কাণ্ডের বিচারের দাবীতে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধর্নায় বসেছেন। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি ছিল। সেখানে মঙ্গলবার বিকেলবেলা ৫টার মধ্যে জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে এরপরেও তাঁরা কাজে না ফিরে স্বাস্থ্য ভবন অভিযান করে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
আর সেই থেকে ধর্না চলছে। এর আগে পর পর দু’বার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের সব শর্ত না মানায় দু’দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নবান্নে অপেক্ষা করে করে ফিরে যেতে হয়েছে। উল্লেখ্য, কয়েক বছর আগে রাজ্য সরকারের সাথে বিক্ষোভরত চিকিৎসকদের জটিলতার সময় এনআরএস হাসপাতালের চিকিৎসকদের সাথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরাসরি বৈঠক সম্প্রচারিত হয়েছিল। তাহলে এবারেও অনুরূপ বৈঠকের সম্প্রচার সম্ভব নয় কেন, তা নিয়ে আন্দোলনকারীরা প্রশ্ন তুলেছেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here