Indian Prime Time
True News only ....

বিজেপির মিছিলে অ্যাম্বুলেন্স আটকে মৃত্যু হলো ১ জন প্রসূতির

- sponsored -

- sponsored -

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নদীয়াঃ আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিশিষ্ট জনের পাশাপাশি সব রাজনৈতিক দল পথে নেমেছে। গতকাল বিজেপি নদীয়ার ফুলিয়া ও রানাঘাটের মাঝে বারো নম্বর জাতীয় সড়কে বিচারের দাবীতে পথে নেমে ‘চাক্কা জ্যাম’ কর্মসূচী চালাচ্ছিল। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ এই অবরোধে প্রসূতি সহ একটি অ্যাম্বুলেন্স আটকে থাকায় ৪ মাসের এক জন গর্ভবতীর রাস্তাতেই মৃত্যু হয়। মৃতার নাম দুর্গা শীল। বয়স ২৩ বছর।

পরিবার সূত্রে খবর, কয়েক বছর আগে দুর্গার ফুলিয়ার প্রফুল্লনগরের বাসিন্দা তথা সেলুনের দোকানদার হীরা শীলের সাথে বিয়ে হয়। তবে ওই গৃহবধূ মৃগী আক্রান্ত ছিল। এদিন আচমকা দুর্গা মাথা ঘুরে পড়ে গেলে হীরা বাড়িতে এসে দুর্গাকে চিকিৎসার জন্য টোটো করে ফুলিয়া হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এরপর অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে ওই হাসপাতালে রওনা দেয়। তবে তখন অ্যাম্বুলেন্সটি হবিবপুরের কাছে বিজেপির মিছিলে আটকে পড়ে। আর সামনে গাড়ির লম্বা লাইনও পড়ে যায়।

- Sponsored -

- Sponsored -

- Sponsored -

- Sponsored -

ওই সময় দুর্গার স্বামী গাড়ির চালকদের অ্যাম্বুলেন্সটি এগিয়ে নিয়ে যেতে অনুরোধ করে। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। ফলে প্রায় পনেরো মিনিট অ্যাম্বুলেন্সটি আটকে ছিল। এরপর পুলিশের নজরে বিষয়টি এলে পুলিশ পিছনের কিছু গাড়ি সরিয়ে অ্যাম্বুলেন্সটিকে অন্য রাস্তা দিয়ে ঘুরিয়ে বের করে দেওয়া হয়। তারপর অ্যাম্বুলেন্সটি কোনোক্রমে হাসপাতালে পৌঁছালে তার এমারজেন্সিতে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয়। চিকিৎসকরা জানান, “কয়েক মিনিট আগে এলেও হয়তো বাঁচানো যেত।” ইতিমধ্যে এই বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। যা নিয়ে তৃণমূল সরব হয়েছে।

তৃণমূলের তরফে শান্তিপুর বিধানসভার বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামী জানান,”যে কোনো রাজনৈতিক দল আন্দোলন করতেই পারে। কিন্তু একটা অ্যাম্বুলেন্সকেও ছাড়লো না? আসলে সংগঠিত ভাবে কোনো আন্দোলন না নাহলে এই ঘটনা ঘটবেই, তবে তৃণমূল দল মৃতার পরিবারের সাথে আছে।” অপরদিকে, রানাঘাট দক্ষিণ সাংগঠনিক বিজেপির মুখপাত্র সোমনাথ কর পুলিশ প্রশাসনের উপর দোষারোপ চাপিয়ে বলেন, “এই ঘটনা আমার জানা নেই। যদি এই ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে পুলিশ প্রশাসনের দায়। আন্দোলনে সকল কর্মীরা অ্যাম্বুলেন্সকে ছেড়ে দিয়েছে। কিন্তু দূরে কোনো অ্যাম্বুলেন্স দাঁড়িয়ে আছে কিনা সেটা দলীয় কর্মীদের দেখা সম্ভব নয়। তাই পুলিশ প্রশাসন এর জন্য দায়ী। কোনো ভাবেই বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা নয়। এই ঘটনা অনভিপ্রেত।”

- Sponsored -

- Sponsored -

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

- Sponsored -

- Sponsored -

- Sponsored