নিজস্ব সংবাদদাতাঃ হুগলীঃ আজ সকাল ৭টা নাগাদ ইডির (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট) একটি দল আর জি কর মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের শ্বশুরবাড়ি হুগলীর চন্দননগরের পাদ্রিপাড়ায় মেরিমাঠ সংলগ্ন এলাকার একটি বাড়িতে যায়। কিন্তু তালাবন্ধ বাড়ির সামনে দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকির পরেও কেউ দরজা খোলেননি। এরপর কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা সহ তদন্তকারীরা গাড়ি ঘুরিয়ে বৈদ্যবাটি চলে আসেন। সেখানে কুণাল রায় নামে এক জন ব্যক্তির বাড়িতে যান।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সন্দীপ ঘোষের শ্বশুরের নাম রামকৃষ্ণ দাস। তবে রামকৃষ্ণবাবু এবং তার পরিবারের সদস্যেরা চন্দননগরের ওই বাড়িতে খুবই কম আসেন। দোতলা ক্রিম রঙের বাড়িটির তালায় মরচে পড়ে গিয়েছে। সদর দরজার ভিতরে উঁকি মেরে দেখা যায়, উঠোনেও শ্যাওলা জমেছে। বর্তমানে রামকৃষ্ণবাবুর পরিবার কলকাতায় থাকেন। জগদ্ধাত্রী পুজোর সময় এখানে আসেন। অন্যদিকে, পরে বৈদ্যবাটির নার্সারি রোড এলাকায় বেসরকারী সংস্থায় কর্মরত কুণালের বাড়িতে যায়।
দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকির পরে নিজেই দরজা খুলে দেন। তারপর প্রায় আট ঘণ্টা ধরে ওই বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। তবে তার বাড়িতে ইডি অভিযানে আসায় বাসিন্দারাও যথেষ্ট অবাক হয়েছেন। আর পরিবারের তরফে কেউ তল্লাশি অভিযানের বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাননি। পাশাপাশি এদিন হাওড়ায় কৌশিক কোলে ও বিপ্লব সিংহের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। আর দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার সুভাষগ্রামে প্রসূন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়।
উল্লেখ্য যে, কৌশিক কোলে, চিকিৎসার সরঞ্জাম সরবরাহ ব্যবসার সাথে যুক্ত বিপ্লব সিংহের ঘনিষ্ঠ। তিনি বিপ্লবের সংস্থায় হিসাবরক্ষকের কাজ করতেন। আর প্রসূন চট্টোপাধ্যায় ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর হিসাবে কাজ করতেন। তিনিও সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিত ছিলেন।