অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ গতকাল বীরভূমের বোলপুরে অবস্থিত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আম্রপালি হস্টেলে এক জন পড়ুয়ার রহস্যজনক মৃত্যুকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ালো। মৃতা হলো বারাণসীর বাসিন্দা অনামিকা সিংহ। এই ঘটনায় পড়ুয়ারা বিশ্বভারতীর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভও দেখান।
অনামিকার অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর পেয়ে রাতেই বীরভূম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত সুপার (বোলপুর) রানা মুখোপাধ্যায় ও বোলপুরের এসডিপিও রিকি আগরওয়াল হস্টেলে যান। এরপর পড়ুয়ারা পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়। পরে বিশ্বভারতীর পক্ষ থেকে কর্মসচীব অশোক মাহাতো, নিরাপত্তা আধিকারিক সুপ্রিয় গঙ্গোপাধ্যায় এবং ছাত্র পরিচালক গণেশ মালিক ঘটনাস্থলে গেলে অশোক মাহাতো, সুপ্রিয় গঙ্গোপাধ্যায় ও গণেশ মালিক পড়ুয়াদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন।
পড়ুয়ারা হস্টেলের নিরাপত্তা নিয়ে পুলিশ এবং বিশ্বভারতী প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। এছাড়া প্রশ্ন তোলে যে, “বিশ্বভারতীর কোনো আধিকারিককে সঙ্গে না নিয়েই পুলিশ হস্টেলে প্রবেশ করলো কিভাবে? হস্টেলের মূল গেটে সিসিটিভি ক্যামেরাই বা নেই কেন, এই প্রশ্নও তোলা হয়।” পাশাপাশি বিচারের দাবীও জানায়। বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত কর্মসচীব অশোক মাহাতো এই প্রসঙ্গে জানান, “এটি একটি দুঃখজনক ঘটনা। আমরা ছাত্রীর পরিবারকে খবর দিয়েছি। হাসপাতালের কারণে হস্টেলে পৌঁছাতে দেরী হয়েছে।”
কিন্তু ওই পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে কিভাবে, তা এখনো স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, অনামিকা বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে। তবে গোটা বিষয়টি ভালোভাবে জানতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বোলপুর) বলেন, “ঘটনার খবর পাওয়ার সাথে সাথে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, বোর্ড বসিয়ে কোনো মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্ত করা হবে। প্রমাণ লোপাটের জন্য হস্টেলের ঘরটি সিল করা হয়েছে এবং প্রয়োজনে ফরেন্সিক দলকে ডাকা হবে। তদন্তে কোনো ত্রুটি রাখা হবে না।”