মিনাক্ষী দাসঃ উত্তর চব্বিশ পরগণাঃ আজ বিজেপির রাজ্য জুড়ে বারো ঘণ্টা বনধে্র ডাকে সকাল থেকেই রাজ্যের দিকে দিকে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। উত্তর চব্বিশ পরগণার বারাসাতে গাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা ট্রেন অবরোধ করে রেখেছে। এমনকি বিজেপি কর্মীরা লোকাল ট্রেনের ইঞ্জিন বেয়ে উঠে পড়েন, যাতে ট্রেন চলতে না পারে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে।
জানা গেছে, সকালবেলাই বনধ পালন ঘিরে বারাসাতের চাঁপাডালি মোড়ে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা দোকানীদের জোর করে দোকান বন্ধ করিয়ে দেয়। গাড়িও আটক করে ভাঙচুর চালায়। এছাড়া একাধিক বাস ও ট্রাকের চাবি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এর জেরে মাঝ রাস্তাতেই বাস এবং ট্রাক আটকে পড়ে যান চলাচল ব্যাহত হয়ে পড়েছে। ফলে সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন।
এদিকে, বারাসাত রেল স্টেশনেও ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরী হয়। বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা স্টেশনে ট্রেনের সামনে দাঁড়িয়ে পড়েন। অন্যদিকে, বিজেপির রেল অবরোধের মাঝেই কাউন্সিলর দেবব্রত দাসের নেতৃত্বে তৃণমূলের একটি মিছিলও এসে পৌঁছায়। তাদের দাবী, ‘‘ট্রেন সচল রাখতে হবে।’’ কিন্তু বিজেপিও পিছু হটতে নারাজ। এরপর বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা ট্রেনের সামনে চড়ে বসে। তবে পুলিশ ও জিআরপি পরিস্থিতি সামাল দিতে নেমেছে।
উল্লেখ্য, আর জি করের ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল বিজেপি সরাসরি না যুক্ত থাকলেও বাইরে থেকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছিল। মিছিলে বিক্ষোভকারীদের ব্যারিকেড ভাঙতে এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে দেখা যায়। ফলে বহু পুলিশকর্মী রক্তাক্ত হন। পরে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের প্রতিহত করতে কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান ছোঁড়ে। কয়েক জায়গায় লাঠিচার্জও করা হয়। আর বিক্ষোভকারীদের উপর পুলিশের ওই অত্যাচারের প্রতিবাদেই এদিন বিজেপি ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধে্র ডাক দেয়। পাল্টা নবান্ন জানায়, ‘‘বনধ্ বেআইনী। বাংলার মানুষকে জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে হবে।’’