নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বিহারঃ গতকাল ভারত বনধ ছিল। বনধ পালন করতে দফায় দফায় রাস্তা অবরোধ, দোকান-পাট বন্ধ, ভাঙচুর চলল। এমনকী, একটি স্কুল বাসও জ্বালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করল বিক্ষোভকারীরা। বাসের ভিতরে তখন একাধিক স্কুল পড়ুয়া ছিল। ভয়ে-আতঙ্কে সিঁটিয়ে যায় স্কুল পড়ুয়ারা। শেষ পর্যন্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতির সামাল দেয়। স্কুল বাসটিকে হামলার হাত থেকে রক্ষা করে।
বুধবার জনজাতি-উপজাতিদের সংরক্ষণ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরোধিতা করেই ভারত বনধের ডাক দেওয়া হয়েছিল। বনধ পালন নিয়ে যখন অশান্তি চলছিল, সেই সময়ই হঠাৎ কিছু উন্মত্ত জনতা একটি স্কুল বাস আটকে দেয়। বাসের উপরে লাঠি-সোঁটা দিয়ে হামলা করা হয়। এক ব্যক্তিকে বাসের নীচে জলন্ত টায়ার ঢুকিয়ে দিতেও দেখা যায়। রাস্তার আশেপাশেও পড়ে ছিল জ্বলন্ত টায়ার। তার মধ্যে দিয়েই স্কুল বাসটিকে সুরক্ষিতভাবে বের করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে চালক। কিন্তু বারবার বাধার মুখে পড়তে হয়।
উন্মত্ত একদল জনতা টায়ারে আগুন লাগিয়ে, বাসেও আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। বাসের ভিতরে যে স্কুল পড়ুয়ারা রয়েছে, সে বিষয়ে গুরুত্বও দেয়নি তারা। শেষে পুলিশ এসে কোনওরকমে বিক্ষোভকারীদের আটকায়। লাঠিচার্জ করে তাদের সরানো হয়। এরপর বাসটি বেরিয়ে যায়। এই বিষয়ে গোপালগঞ্জের পুলিশ সুুপার জানান, এলাকায় হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছিল। বিপুল পরিমাণ পুলিশও মোতায়েন ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমে বনধ পরিস্থিতির উপরে নজরদারি করা হচ্ছিল। যারা বাসে আগুন লাগানোর চেষ্টা করেছিল, তাদের মধ্যে কয়েকজনকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। সকলের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এমন ঘটনার জন্য অভিযুক্তদের জেলে পাঠানোর আশ্বাসও দেন তিনি।