মাঝরাতে আর জি করে নতুন করে ছড়ালো উত্তেজনা

Share

অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ একদিকে যখন রাজপথে জুনিয়র চিকিৎসককে নির্মম হত্যার প্রতিবাদে মিছিল চলছে ঠিক তখনই পুলিশের সামনে আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। মহিলাদের রাত দখলের কর্মসূচীর একটি মিছিল আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দিকে এগোতেই এই ধুন্ধুমার কাণ্ড শুরু হয়।

জানা গিয়েছে, আচমকা জরুরী বিভাগের সামনে তুমুল শোরগোল শুরু হয়। ত্রিশ থেকে চল্লিশ জনের একদল যুবক হাতে থাকা রড-লাঠি দিয়ে ব্যারিকেড ভেঙে পুলিশের গাড়ি উল্টে জরুরী বিভাগে প্রবেশ করে। এরপর ভেতরের টিকিট কাউন্টার, এইচসিসিইউ (হাইব্রিড ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট), সিসিইউ (ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট), ওষুধের স্টোররুম সহ রোগীদের বেড, চেয়ার-টেবিল সব ভাঙচুর করে গুঁড়িয়ে দেয়। গোটা জরুরী বিভাগ জুড়ে কাচ ছড়িয়ে ছিটিয়ে। চারতলার গেট অবধি ভেঙে দেওয়া হয়। বাইরে আর জি করের পুলিশ ফাঁড়িতেও ভাঙচুর করার পাশাপাশি আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের মঞ্চেও ভাঙচুর চালানো হয়।


পুলিশ দুষ্কৃতীদের থামাতে গেলে পুলিশের সাথেও রীতিমতো ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়া হলে কয়েক জন পুলিশ কর্মীও আহত হন। পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরাও ভেঙে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে সীমিত সংখ্যক পুলিশকর্মী থাকায় প্রাথমিক ভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছাতেই র‌্যাফ নামানো হয়। এছাড়া কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে ভিড়কে ছত্রভঙ্গ করা হয়। এখনো অবধি ওই দুষ্কৃতীদের সঠিক পরিচয় জানা না গেলেও তাদের স্থানীয় যুবক বলেই মনে করা হচ্ছে।


তৃণমূল নেতা শান্তনু সেন এই ঘটনা প্রসঙ্গে জানান, ‘‘যা হল, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমরা সকলেই চাই, আর জি করের ঘটনায় দোষীর শাস্তি হোক। কিন্তু আন্দোলেনর নামে যদি কোনো রোগীকে ফিরে যেতে হয়, তা কখনোই কাম্য নয়। আবার এভাবে ভাঙচুরের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না।’’ এর সাথে সাথে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স হ্যান্ডেলে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের কাছে আর্জি জানিয়ে লেখেন, ‘‘রং না দেখে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুষ্কৃতীদের ধরুন! পড়ুয়াদের দাবী ন্যায্য ও সঙ্গত! তাদের বাঁচান!’’


Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
July 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031