নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মালদাঃ আজ মালদার গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ঢুকে এক ছাত্রীকে কোপ মারার অভিযোগ উঠলো এক জন ছাত্রের বিরুদ্ধে। এরপর ওই যুবক ছাত্রীকে কোপ মারার পর নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করে। আক্রান্ত ছাত্রী গণিত বিভাগের। আসাম থেকে এসেছিল। আর অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের ছাত্র ছিল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের করিডোরে চাপ চাপ রক্ত পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিজ্ঞান বিভাগের বিল্ডিংয়ে গণিত বিভাগের পরীক্ষা চলাকালীন ছাত্রীটিকে অভিযুক্ত ছাত্র করিডোরে দাঁড়িয়ে কোপ মারে। এরপর তার চিৎকার শুনে অনেকে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে দেখেন, ছাত্রটি ছাত্রীটির উপর বসে কোপ দিচ্ছে। আর নিজের গলাতেও কোপ বসাতে থাকে। তখন একটি ছেলে অন্য গেট দিয়ে বাঁশ হাতে ঢুকে ওই ছাত্রকে আঘাত করতেই ছাত্রীটিকে ছেড়ে দোতলায় গিয়ে নিজেকে আবার কোপ দিতে থাকে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
তারপর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল দলের সদস্য সুমিতা সরকার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। আর ওই ছাত্রের গলায় তুলো চেপে ধরে রক্ত বন্ধের চেষ্টা করা হয়। এমনকি সুমিতা দেবী নিজের ওড়না তার গলায় পেঁচিয়ে রক্ত বন্ধ করার চেষ্টা করেন। তারপর ওই ছাত্র-ছাত্রী দু’জনকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্বে) তথা ডেভলপমেন্ট অফিসার রাজীব পুততুণ্ড জানান, ‘‘এখন ওদের জীবন বাঁচানো যায় কিভাবে, সেই বিষয়টাই দেখছি। উপাচার্যও এই বিষয়টি দেখছেন। হঠাৎ করে এই কাণ্ড ঘটে গিয়েছে। আগে দু’জনের জীবনসংশয় কাটুক। এরপর বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’’ কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে ছাত্রীর উপর হামলা চালানো হলো কিভাবে সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এমনকি নিরাপত্তার বিষয়টিও জিজ্ঞাসার মুখে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here