নিজস্ব সংবাদদাতাঃ গুজরাতঃ কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীর গড় হিসেবে পরিচিত মুর্শিদাবাদের বহরমপুর। এবার সেই বহরমপুর থেকে অধীর চৌধুরীকে প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান ৫২ হাজারের বেশী ভোটে পরাজিত করলেন। আর এই লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের দু’দিনের মধ্যে গুজরাতের বরোদা পুরসভার জমি দখলের অভিযোগে পুরসভা তৃণমূল সাংসদ ইউসুফ পাঠানকে নোটিশ পাঠিয়েছিল। গতকাল তিনি ওই নোটিশের বিরুদ্ধে গুজরাত হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।
গতকাল ইউসুফ পাঠানের হয়ে তাঁর আইনজীবী আদালতে সওয়াল করেছেন। বরোদা পুরসভার স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান শীতল মিস্ত্রি জানিয়েছেন, বিষয়টি যেহেতু আদালতে বিচারাধীন, তাই আদালত কি সিদ্ধান্ত নেয় তা দেখা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গত ১৩ ই জুন বরোদার প্রাক্তন বিজেপি কাউন্সিলর বিজয় পাওয়ার জমি দখল সংক্রান্ত অভিযোগ তুলে জানান, ‘‘ইউসুফ পাঠান বরোদার তান্দলাজা এলাকায় নিজের বাংলোর পাশে পুরসভার ‘টাউন প্ল্যানিং ২২ ফাইনাল প্লট ৯০’ সংরক্ষিত জমিটি দখল করে রেখেছেন।
২০১২ সালে ইউসুফ পাঠান এই জমিটি পুরসভার থেকে কিনে নিয়ে সেখানে নিজের আস্তাবল গড়তে চেয়েছিলেন। প্রতি বর্গমিটারে ৫৭ হাজার টাকা করে দেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছিলেন। এরপর পুরসভা একটি প্রস্তাব পাশ করে ওই জমি ইউসুফ পাঠানকে দেওয়ার অনুমোদন দেয়। তারপর ২০১৪ সালে গুজরাত সরকারের কাছে বিষয়টি গেলে রাজ্য প্রশাসন সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেয়। কিন্তু এখন তিনি ওই জমির চারপাশে প্রাচীর তুলে তা দখল করে রেখেছেন।’’ বর্তমানে বিজয় পাওয়ার সেই জমি ফেরানোর আর্জি জানিয়েই বরোদা পুরসভার বর্তমান স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ও পুরকমিশনারকে চিঠি দিয়েছেন।
কমিটির চেয়ারম্যান জানান, ‘‘ইউসুফ পাঠানকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। শীঘ্র সিদ্ধান্তও নেওয়া হবে।’’ এরপর ১৫ ই জুন বরোদার আর এক কাউন্সিলর নিতিন ডোঙ্গা পুরকমিশনারকে স্মারকলিপি দিয়ে দাবী করেন, ‘‘লোকসভা নির্বাচনে ইউসুফ পাঠান প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দাখিলের সময় পুরসভার এই জমির একাংশের মালিকানা নিজের নামে দেখিয়েছেন। তাই তাঁর বিরুদ্ধে জমি দখলের মামলা দায়ের করা হোক।’’ বরোদা পুর কমিশনার বলেন, ‘‘এই নিয়ে ইউসুফ পাঠানকে ইতিমধ্যে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’’