নিজস্ব সংবাদদাতাঃ উত্তরপ্রদেশঃ উত্তরপ্রদেশের কানপুরে এক কোচিং সেন্টারে টাকা না দেওয়ায় এক ছাত্রকে নগ্ন করে মারধরের পাশাপাশি চুল পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে উঁচু ক্লাসের পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় ছ’জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তরা হলেন তনয় চৌরাসিয়া, যোগেশ বিশ্বকর্মা, অভিষেক কুমার বর্মা, সঞ্জীবকুমার যাদব ও হরগোবিন্দ তিওয়ারি।
সূত্রের খবর, কয়েক মাস আগে ওই ছাত্র এটাওয়া থেকে প্রতিযোগীতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে কানপুর এসেছিল। আর যে কোচিং সেন্টারে পড়তো, সেখানেই তার তনয়, যোগেশ, অভিষেক, সঞ্জীবকুমার এবং হরগোবিন্দের সাথে পরিচয় হয়। এরপর তারা ওই ছাত্রকে অনলাইনে বেটিং গেম খেলার জন্য কুড়ি হাজার টাকা দিয়েছিল। কিন্তু ওই ছাত্র টাকা বেটিংয়ে খোওয়ানোর পরেই অত্যাচার শুরু হয়। আর কুড়ি হাজারের পরিবর্তে দু’লক্ষ টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হয়। কিন্তু টাকা না দিতে পারায় ঘরবন্দি করে মারধর করা হয়। আর এই ঘটনার ভিডিয়ো ক্যামেরাবন্দি করে নেট মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, কয়েক জন যুবক ওই ছাত্রের গোপনাঙ্গে একের পর এক লাথি-ঘুষি মারছেন। এমনকি সেখানে ইট বেঁধে হাঁটানো হচ্ছে। এক জন আবার চুল পোড়ানোর চেষ্টা করে। এই অত্যাচারের ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই পুলিশ তনয়, যোগেশ, অভিষেক, সঞ্জীবকুমার ও হরগোবিন্দকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, কয়েক দিন ধরে অত্যাচার চলার পর ওই ছাত্র পুরো বিষয়টি বাড়িতে জানালে পরিবারের সদস্যরা পুলিশের কাছে অভিযোগ করলে পুলিশ তনয়, যোগেশ, অভিষেক, সঞ্জীবকুমার এবং হরগোবিন্দকে সতর্ক করে ছেড়ে দিয়েছিল। কিন্তু তারপরেও এই ধরণের ঘটনা ঘটে।