হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে গেল পর্ষদ, এসএসসি সহ রাজ্য সরকার

Share

অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শুনানির পর সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল ঘোষণা করে। ফলে ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরী বাতিল হয়েছে।

আর যারা মেয়াদ-উত্তীর্ণ প্যানেলে চাকরী পেয়েছিলেন, এছাড়া যারা সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরী পেয়েছিলেন তাদের চার সপ্তাহের মধ্যে বারো শতাংশ হারে সুদ সহ বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু ৪৮ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে রাজ্য সরকার এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিমকোর্টে গেছে। আর পৃথক ভাবে সুপ্রিম কোর্টে এসএসসি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও রাজ্য শিক্ষা দপ্তর মামলা করেছে।


এদিকে, সোমবার এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেছিলেন, ‘‘তিনি হাইকোর্টের এই রায়ে খুশী নন। প্রশ্ন তোলেন, ‘‘পাঁচ হাজার জনের বিরুদ্ধে অবৈধ ভাবে চাকরী পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে, তার জন্য ২৬ হাজার জনের চাকরী বাতিল হবে কেন? বর্তমানে ১৯ হাজারের বেশী শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী চাকরীহারা।’’


এছাড়া সিদ্ধার্থ মজুমদার সেদিনই জানিয়েছিলেন যে, ‘‘আইনজীবীদের সাথে পরামর্শ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।’’ আর এদিনই সেই মতোই চাকরী বাতিলের নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন (এসএলপি) করা হয়েছে। পাশাপাশি সিদ্ধার্থ মজুমদার জানান, ‘‘রাজ্য সরকারের সাথে আলোচনা সাপেক্ষেই আমরা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছি।’’


যদিও সোমবার হাইকোর্ট জানায়, ‘‘সিবিআই (সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন) এসএসসি দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগগুলি নিয়ে তদন্ত চালিয়ে যাবে। প্রয়োজনে সন্দেহভাজনদের হেফাজতে নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। সেক্ষেত্রে মন্ত্রীসভার সদস্যরাও বাদ যাবে না কারণ অভিযোগ ছিল, ‘‘অযোগ্যদের চাকরি দেওয়ার জন্য বাড়তি পদ তৈরী করা হয়েছিল। আর সেই পদ মন্ত্রীসভার অনুমোদনে তৈরী হয়েছিল।’’ উল্লেখ্য যে, হাইকোর্টের এই রায়ের খবর প্রকাশ্যে আসতেই চাকরীহারাদের মধ্যে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি রাস্তায় নেমে বিক্ষোভও শুরু করেন।

Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
May 2025
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031