অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ সন্দেশখালিকাণ্ডে শেখ শাহজাহান তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হলেও রাজ্যের মন্ত্রী তথা কোচবিহারের দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ দাবী করেন, ‘‘শাহজাহানকে ফাঁসানো হয়েছে!’’ উদয়ন গুহর এই মন্তব্যে বিরোধীরা শাসকদলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে।
আজ উদয়ন গুহ কোচবিহারের রবীন্দ্র ভবনে দলের ব্রিগেড সভার প্রস্তুতি বৈঠকে জানান, ‘‘শেখ শাহজাহান কায়দা করে ফাঁসানো হয়েছে। ইডির গায়ে হাত উঠেছে তো! এতো যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, কই সে সব অভিযোগ তো আগে কখনো শোনা যায়নি। তার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ তোলা হয়েছে, সেগুলোও কেমন গুলিয়ে যায়! আর পিঠে খাওয়ার শখ যে রাত ১২টায় হয়, এটা আমার জানা ছিল না।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
সব প্রশ্নের উত্তর পেলে তবেই বোঝা যাবে শাহজাহান কতটা দোষী।’’ আর এতদিন সিপিএম শাহজাহানকে নিয়ে প্রকাশ্যে কেন কিছু বলেনি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। মন্ত্রীর কথায়, ‘‘২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল অবধি নিরাপদ সর্দার সন্দেশখালির বিধায়ক ছিলেন। আমার পাশে কয়েকটা আসন পরেই বসতেন। কখনো আমি নিরাপদ সর্দারকে বলতে শুনিনি সন্দেশখালিতে মহিলাদের সাথে কি ঘটছে! আমি সুজন চক্রবর্তীকেও বিধানসভায় দেখেছি। কোনোদিন ওঁকেও সন্দেশখালি নিয়ে কিছু বলতে শুনিনি।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
আর কোনোদিন কুলতলি বা বাসন্তীর বিধায়কদেরও বলতে শুনিনি। আবার বসিরহাটের সিপিএম বিধায়ককেও কিছু বলতে দেখিনি।’’ উদয়ন গুহর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘উদয়নবাবুও তো তখন বিধায়ক ছিলেন। উনি খুব ভালো মতোই জানেন যে, নিরাপদ সন্দেশখালি নিয়ে বলতে উঠলেই তাঁর মাইক বন্ধ করে দেওয়া হত। বিধানসভায় সব লিপিবদ্ধ রয়েছে। আর আমি কেন বলিনি? আমি তো ওঁকে এটাও বলিনি যে, মাথা খারাপ হয়ে গিয়ে তৃণমূল করতে!
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
অন্যদিকে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, ‘‘ওঁর লজ্জা করে না! দলই তো সাসপেন্ড করেছে। রাজ্য পুলিশই তো গ্রেফতার করেছে। যা যা ধারা দেওয়া হয়েছে, সবই তো ওঁর দলের পুলিশ দিয়েছে। তাহলে কি দলও শাহজাহানকে ফাঁসালো না কি সবটাই চিত্রনাট্য। আগে থেকে সব সাজানো ছিল।’’