অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ আজ কলকাতার গড়ফার পূর্বাচলে বাড়ি থেকে উদ্ধার মহিলার দেহ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকা জুড়ে তুমুল শোরগোল শুরু হয়। গড়ফা পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে ওই দেহটিকে।
সূত্রের খবর, আড়াই বছর থেকে বাপ্পা দে ও মঞ্জু দে নামে ভুয়ো স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে দু’জন ওই এলাকায় থাকছিলেন। বাপ্পা মেডিকেল কোম্পানীতে কাজ করেন এবং মঞ্জু আয়ার কাজ করতেন। কয়েক দিন ধরে কোনো সাড়া-শব্দ না পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেকদিন ধরে বাড়ির মালিক ফোন করেও ফোনে না পাওয়ায় এদিন বাড়িতে এসে ওই মহিলাকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। আর পাশে ঘুমের ওষুধের পাতা ছিল। এরপর তিনি পুলিশকে খবর দেন।
পুলিশও খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখেন। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, সম্পর্কে টানাপোড়েন থেকেই এই ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এটি খুন না আত্মহত্যা না তা ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বোঝা যাবে। মহিলার সঙ্গে ওই ব্যক্তির কীভাবে আলাপ? এই মৃত্যু পিছনে কী কারণ? ঘুমের ওষুধ কেন পড়েছিল? কেন খাটের উপর চেয়ার ছিল? তাহলে কী হত্যাকে আড়াল করতে সাজিয়ে রাখা হয়েছিল এসব? নাকি অন্য কোনোভাবে মৃত্যু? মহিলা শরীরে চিহ্ন এল কীভাবে? সব কিছু খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বাড়ির মালিকের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে।