Indian Prime Time
True News only ....

দুষ্কৃতীদের হাতে মৃত্যু হলো তৃণমূল নেতা সত্যেন চৌধুরীর

- Sponsored -

- Sponsored -

- Slide Ad -

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মুর্শিদাবাদঃ আজ ভরদুপুরে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের ভাকুড়ি মোড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হলো তৃণমূল নেতা তথা জেলার সাধারণ সম্পাদক সত্যেন চৌধুরীর। একদা সত্যেন চৌধুরী রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি অধীর চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ ছিলেন। কিন্তু পরবর্তী কালে তৃণমূলে যোগ দেন। তবে ইদানীং রাজনীতি থেকে দূরত্ব বাড়িয়েছিলেন।

জানা গেছে, তিনি এলাকায় বেশ কয়েক জন অনুগামীকে নিয়ে নির্মীয়মান বহুতলের কাছে বসেছিলেন। ওই সময় তিন জন দুষ্কৃতী দু’টি বাইকে করে সত্যেন চৌধুরীকে ঘিরে ধরে। আর খুব কাছ থেকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে পর পর তিন রাউন্ড গুলি চালায়। গুলির শব্দ পেয়ে স্থানীয়রা আশপাশ থেকে ছুটে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় সত্যেন চৌধুরীকে উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীনই তাঁর মৃত্যু হয়।

এলাকাবাসীদের দাবী, ‘‘সত্যেন চৌধুরীর হাতে সুতিরমাঠ সেবা সমিতি সহ একাধিক ক্লাবের নিয়ন্ত্রণ ছিল। বাম আমলে বেশ কয়েক বার বিভিন্ন অসামাজিক কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগে জেল খেটেছেন। রাজ্যে পালাবদলের পর অধীর চৌধুরীর সঙ্গে মতপার্থক্যের জেরে তৃণমূলে যোগ দিতেই তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদকের পদ পান। তবে গত বিধানসভা ভোটের পর থেকে সক্রিয় হতে দেখা যায়নি।’’

- Sponsored -

- Sponsored -

- Sponsored -

- Sponsored -

বহরমপুর পুরসভার চেয়ারম্যান নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায় অভিযোগ জানান, ‘‘কংগ্রেস ও সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা লোকসভা ভোটের আগে অশান্তি তৈরী করতে সত্যেন চৌধুরীকে খুন করেছে।’’ বামেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে জেলার সিপিএম সম্পাদক জামির মোল্লা বলেন, ‘‘নিজেদের বখরা ভাগাভাগির জেরে তৃণমূল নেতাদের খুন হতে হচ্ছে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেই তৃণমূল নেতা খুন হয়েছেন।’’

এই খুনের নেপথ্যে রাজনৈতিক না ব্যবসায়িক যোগ রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে থেকে দুষ্কৃতীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তুমুল উত্তেজনা শুরু হয়।

- Sponsored -

- Sponsored -

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

- Sponsored -

- Sponsored -

- Sponsored