মানব পাচার মামলায় এনআইএর হাতে গ্রেফতার বারাসাতের ১ জন ব্যবসায়ী

Share

মিনাক্ষী দাসঃ উত্তর চব্বিশ পরগণাঃ মানব পাচারের অভিযোগের তদন্তে নেমে এনআইএর (ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি) হাতে গ্রেফতার উত্তর চব্বিশ পরগণার বারাসাতের নবপল্লী এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী সঞ্জীব দেবকে গ্রেফতার। প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে বাড়িতে তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদের পর আজ দুপুরবেলা গ্রেফতার করা হয়।

উল্লেখ্য, গতকাল গভীর রাতেরবেলা এনআইএর আধিকারিকরা সঞ্জীববাবুর আবাসনে হানা দিয়ে তল্লাশি শুরু হয়। কেন্দ্রীয় বাহিনী বাইরে থেকে ফ্ল্যাট ঘিরে রাখে। কিন্তু পরিবারের কেউ এই তল্লাশির কারণ জানতেন না। এদিন তার স্ত্রী জানান, ‘‘রাতে এনআইএ এসেছিল। বাড়ির বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি করে বেশ কয়েক লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। যা তদন্তের স্বার্থ নিয়ে গিয়েছে।


ব্যবসার কাজের কিছু টাকাপয়সা বাড়িতে ছিল। কত টাকা ঠিক জানি না। মনে হয়, ১৫ লক্ষ টাকা নিয়ে গিয়েছে। এছাড়া চাঁপাডালি এলাকায় একটি ট্যুর অ্যান্ড ট্র্যাভেলসের অফিস রয়েছে। ফলে সেখানেও তল্লাশি চালানো হয়েছে। তবে আমি কিছুই জানি না। আমার স্বামীকে ফাঁসাল কিভাবে বুঝতেই পারছি না।’’


বারাসাতে্র পাশাপশি এনআইএ আধিকারিকরা একই জেলার গাইঘাটার হাজরাতলাতেও বিকাশ সরকার নামে এক জন ব্যক্তির বাড়িতে যান। এরপর বেশ কয়েক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর বিকাশবাবুকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়। তার স্ত্রী বলেন, ‘‘তারা মূলত বাংলাদেশের বাসিন্দা।


বেশ কয়েক বছর আগে স্বামী এখানে এসেছেন। তবে চার মাস আগে তিনি পাসপোর্ট দেখিয়ে চিকিৎসার জন্য এ দেশে এসেছেন। কিন্তু ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় আর ফেরা হয়নি।’’ অন্যদিকে, এনআইএ আধিকারিকরা হাবরা থানার বানিপুর হিরাপোল এলাকায় শঙ্কর দাসের খোঁজ করতে এসেছিলেন। তবে শঙ্করবাবু বাড়িতে না থাকায় মামার সাথে কথা বলে ফিরে যান।

প্রতিবেশীরা বলেছেন, ‘‘বেশ কয়েক বছর আগে শঙ্কর এ দেশে এসেছেন। প্রথমে জলের ব্যবসা ও পরে একটি গেঞ্জির কারখানায় কাজ করতেন। পুজোর আগে বৃন্দাবন ঘুরতে গিয়েছেন। কিন্তু পাঁচ বছর আগে তার মা-বাবা এ দেশে আসেন। যদিও বর্তমানে তারাও বাড়িতে নেই।’’

DISCLAIMER: This channel does not promote any violent, Harmful or illegal activities. All content provided by this channel is meant for an educational purpose only.

Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031