নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নয়া দিল্লিঃ ‘নিউজক্লিক’ কাণ্ডে আজ সকালবেলা সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির ৩৬ নম্বর পণ্ডিত রবিশঙ্কর শুক্ল লেনের বাড়িতে (যেটি আগে ক্যানিং লেন নামেই পরিচিত ছিল) তল্লাশি চালালো দিল্লি পুলিশ। এই বাড়িটি দলের তরফে সাধারণ সম্পাদকের জন্য বরাদ্দ।
আর সীতারাম ইয়েচুরির বাবা সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তরে কাজ করায় তিনি এই বাড়িতে থাকেন। সীতারাম ইয়েচুরির সাথে নিউজক্লিকের এক জন সাংবাদিক এই বাড়ির একটি তলায় থাকেন। ঘটনাচক্রে, দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল নিউজক্লিককাণ্ড নিয়ে দিল্লি, নয়ডা, গুরুগ্রাম, গাজিয়াবাদ সহ মুম্বইয়ে একশোটিরও বেশী জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে। তাই সীতারাম ইয়েচুরির বাড়িতে ওই যুবকের খোঁজে তল্লাশিতে এসেছিল।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
আপাতত যুবকের মোবাইল ও ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সীতারাম ইয়েচুরি এই তল্লাশি প্রসঙ্গে ইয়েচুরি জানান, “পুলিশ বাড়িতে তল্লাশি করতে এসেছিল। কারণ আমার সাথে আরো এক জন কর্মী থাকেন। যার পুত্র নিউজক্লিকে কাজ করে। পুলিশ ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে এসেছিল। কিন্তু কেন কিসের তল্লাশি চালাচ্ছে কেউ জানে না।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
তবে যদি সংবাদমাধ্যমকে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়, তাহলে দেশের মানুষের জানা উচিত, এর পিছনে কারণ কি রয়েছে।” সিপিএমের পলিটব্যুরোর সদস্য নীলোৎপল বসু আবার বলেন, “বিভিন্ন মানুষের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। সাংবাদিক, স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ানদের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়েছে। কিন্তু কি অভিযোগে তল্লাশি চালানো হচ্ছে তা স্পষ্ট নয়।”
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
প্রসঙ্গত, ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট) আর্থিক তছরুপ এবং চীনকে সমর্থন করে এমন কিছু লেখা প্রকাশ করার অভিযোগে নিউজক্লিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিল। আর গতকাল এই তল্লাশি নিয়ে স্পেশাল সেলের শীর্ষ আধিকারিকরা বৈঠকে বসেছিলেন।
এরপর এদিন ইডির কাছ থেকে তথ্য পেয়ে এই সংবাদমাধ্যমের সাথে জড়িত প্রাক্তন ও বর্তমান বহু সাংবাদিক এবং কর্মীর বাড়িতে তল্লাশি চালায়। এছাড়া এই সংবাদমাধ্যমের প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক প্রবীর পুরকায়স্থকে স্পেশাল সেলের দপ্তরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসা হয়। পাশাপাশি বেশ কিছু সাংবাদিককে লোধি রোডের স্পেশাল সেলের দপ্তরেও নিয়ে আসা হয়েছে।