নিজস্ব সংবাদদাতাঃ রাজস্থানঃ রাজস্থানের সালুম্বার জেলায় চিকিৎসার অছিলায় কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক জন তান্ত্রিকের বিরুদ্ধে। সদ্য ওই কিশোরী সন্তান প্রসব করেছেন। এই ঘটনা প্রকাশ্যেই আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, দশম শ্রেণীর ওই কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়ায় তার মা-বাবা ওই তান্ত্রিকের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন। ঘটনাচক্রে, ওই তান্ত্রিক এক জন সেচ দপ্তরের কর্মী। এদিকে ওই কিশোরীর পেটে যন্ত্রণা হওয়ায় তাকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। এরপর চিকিৎসকরা ওই কিশোরীর শারীরিক পরীক্ষা করতেই দেখেন ওই কিশোরী সন্তানসম্ভবা।
তারপর চিকিৎসকরা বিষয়টি নিয়ে পুলিশের সাথে যোগাযোগ করেন। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে জানতে পারে, ওই কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়ায় পরিবারের সদস্যরা ওই সরকারী কর্মী তথা তান্ত্রিকের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানেই তার ধর্ষণ করা হয়। এরপর সন্তান প্রসব করার পর ওই কিশোরীর পরিবার পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।
ওই কিশোরীর বাবা অভিযোগ করেছেন যে, ‘‘কোভিডের সময় তার সালুম্বার হাসপাতালে কাজ করার সময় তান্ত্রিক অর্থাৎ লক্ষ্মণের সাথে পরিচয় হয়। আর লক্ষ্মণকে কন্যার অসুস্থতার কথা জানালে সে নিয়ে আসতে বলেন। আর ওই কিশোরীকে সুস্থ করার প্রতিশ্রুতি দেন। তারপর ওই কিশোরীকে চিকিৎসার অছিলায় একাধিক বার ধর্ষণ করেন।’’
পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে লক্ষ্মণের খোঁজ চালিয়ে লক্ষ্মণ ও তার দুই সঙ্গীকে গ্রেফতার করেন। এর পাশাপাশি সদ্যোজাতের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। ওই রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর শিশুটির বাবা কে তা স্পষ্ট ভাবে জানা যাবে।