নিজস্ব সংবাদদাতাঃ হুগলীঃ এবার সিঙ্গুরের একটি ডিসিআরসি রুমের (ভোটকেন্দ্র থেকে এখানে ব্যালট বাক্স এনে পরীক্ষার পর স্ট্রংরুমে পাঠানো হয়) একটি ভিডিয়ো নেট মাধ্যমে পোস্ট করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ তুললেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।

ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, সিঙ্গুরের বৈঁচিপোতা পঞ্চায়েতের কালিয়াড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫৮ নম্বর আসনে ব্যালট বাক্সের প্লাস্টিক ছেঁড়া। এই নিয়ে এলাকাবাসীরা সরকারী কর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। মহম্মদ সেলিম এই প্রসঙ্গে জানান, ‘‘আমরা প্রথম থেকে নির্বাচনে জালিয়াতির কথা বলে এসেছি।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereশাসক দলের অনুকূলে জনমত নিয়ে যাওয়ার জন্যই সরকারী কর্মচারীদের দিয়ে এই ধরনের কাজকর্ম করানো হচ্ছে।’’ সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘‘আমরা ওই ঘটনার সাক্ষী। রাত ১১টা নাগাদ ব্যালট বাক্স স্ট্রংরুমে পাঠানোর আগেই নজর আসে, বাক্সের প্লাস্টিকটা ছেঁড়া ছিল। আমরা প্রতিবাদ করলে পুনরায় সিল করা হয়।’’
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereপাশাপাশি সিঙ্গুর বিধানসভার বিজেপি আহ্বায়ক সুকান্ত বর্মনও বলেন, ‘‘আমাদের প্রতিবাদের জেরেই সরকারী কর্মীরা ফের সিল করতে বাধ্য হন। আসলে তৃণমূলের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাচ্ছে। তারা ভোট লুটের চেষ্টা করছে। এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া উচিত।’’
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereসিঙ্গুর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি গোবিন্দ ধারা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ‘‘এই ঘটনার সাথে তৃণমূল জড়িত নয়। কোনো ত্রুটি হলে সেটা ভোটকর্মীদের। সিঙ্গুরে শান্তিতেই ভোট মিটেছে। বিরোধীরা জিততে পারবে না বুঝেই এই সব অভিযোগ করছে।’’ জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানিয়েছেন, ‘‘বাক্সের সিল ঠিক ছিল। যে প্লাস্টিকে মুড়ে বাক্সটা আনা হয়েছিল, সেটা ছিঁড়ে গিয়েছিল। পরে বদলে দেওয়া হয়।’’