মিনাক্ষী দাসঃ উত্তর চব্বিশ পরগণাঃ আজ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তর চব্বিশ পরগণার ঠাকুরনগরে যান। কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর আগে থেকেই এলাকা সরগরম ছিল। প্রথম থেকেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা মতুয়া মহাসঙ্ঘের নেতা শান্তনু ঠাকুর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে মতুয়াদের ঠাকুরঘরে আসতেই দেবেন না বলে শ্লোগান তোলেন।
এরপর তৃণমূল ও বিজেপির ঝামেলার মধ্যে আর তাঁর মতুয়াদের ঠাকুরঘরে পুজো দেওয়া হয়নি। ফলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শান্তনু ঠাকুর তথা বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে ফিরে যান। আর ওই সময় শান্তনু ঠাকুর ঠাকুরঘরের দরজা বন্ধ করে ভিতরে বসেছিলেন। এদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এলাকা ছাড়ার পরই তৃণমূল এবং বিজেপির সংঘর্ষ শুরু হয়।
একে অপরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ আনে। তারপর আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেও সঙ্ঘাত শুরু হয়। বনগাঁ উত্তরের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া এই প্রসঙ্গে অভিযোগ করেন, ‘‘তিনি আহতদের নিয়ে হাসপাতালে গেলে তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে মারধর করে পরনের পাঞ্জাবী অবধি ছিঁড়ে দেয়।’’
![- Sponsored -](https://indianprimetime.in/wp-content/uploads/2021/02/advertisehere.png)
- Sponsored -
আবার বনগাঁর সাংসদ শান্তনু আহতদের হাসপাতালে দেখতে গিয়ে জানান, ‘‘পশ্চিমবাংলার আজকের সংস্কৃতি, গণতন্ত্র, রাজনীতি সমস্ত কিছু শেষ। আমি এত দিন কিছু বলিনি। আজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশকে দিয়ে যা করালো সেটা সম্পূর্ণ ভাবে একতরফা ঘটনা।’’
এদিকে পুলিশ হাসপাতালে মারামারির সময় বেশ কয়েক জনকে আটক করেছেন। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে বেশ কয়েক জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। এর পাশাপাশি তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর হাসপাতালে যান। আর তাদের দলের লোকজনকেও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন।