চয়ন রায়ঃ কলকাতাঃ পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে আজ সিবিআই (সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন) রাজ্যের বেশ কয়েকটি পুরসভায় হানা দিয়েছে। সকালবেলা থেকেই সিবিআই একাধিক দলে বিভক্ত হয়ে রাজ্যের একাধিক পুরসভায় পৌঁছান। এছাড়া সল্টলেকে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরেও যায়।
তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভার নিয়োগ সংক্রান্ত নথি খতিয়ে দেখার জন্যই অভিযান চালানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট) টিটাগড়, শান্তিপুর, হালিশহর, নব ব্যারাকপুর এবং দক্ষিণ দমদম পুরসভায় হানা দিয়েছেন।
সিবিআই আধিকারিকরা নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া অয়ন শীলের হুগলীর চুঁচুড়ার জগুদাসপাড়া ফ্ল্যাটেও গিয়েছেন। রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম সিবিআই হানা প্রসঙ্গে জানান, “পুরোটাই রাজনীতি চলছে। রাজ্য পুরসভায় দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত চালাচ্ছে।”

- Sponsored -
প্রসঙ্গত, গত ১৯ শে মার্চ ইডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অয়নকে গ্রেফতার করেছিল। এখন বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন। ইডির তরফে দাবী করা হয়, “তাঁর সল্টলেকের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে রাজ্যের একাধিক পুরসভার বিভিন্ন পদে চাকরীপ্রার্থীদের ওএমআর শিট (উত্তরপত্র) পাওয়া গিয়েছে। এবিএস ইনফ্রোজোন’ নামে অয়নের সংস্থার মাধ্যমে একাধিক পুরসভায় নিয়োগ হয়েছে।
প্রায় এক হাজার জন চাকরীপ্রার্থীর কাছ থেকে ৪৫ কোটি টাকা তুলেছেন। অন্য দিকে পুর নিয়োগের জন্য চাকরীপ্রার্থীদের কাছ থেকে ৩৫ কোটি থেকে ৪০ কোটি টাকা তুলেছেন। আর বিষয়টি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে উঠলে তিনি পুরসভায় দুর্নীতির মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। পরে এই মামলার এজলাস বদল হলেও হাইকোর্ট এই রায় বহাল রাখে।