নিজস্ব সংবাদদাতাঃ উত্তর চব্বিশ পরগণাঃ গায়ে জ্যাকেট পরে মাথায় হলুদ হেলমেট লাগিয়ে সাজগোজ অবিকল জল প্রকল্পে পাইপ লাইন বসানোর কাজে যুক্ত শ্রমিকদের মতো। কিন্তু দীর্ঘ দিন থেকে এই ছদ্মবেশের আড়ালে একটি চক্র পাইপ চুরি করছিল। অবশেষে গোপালনগর থানার পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে পড়েছে চক্রের এক জন পান্ডা সহ ৯ জন।
পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার রাতেরবেলা কয়েক জন ১৬ নম্বর রেলগেট এলাকায় পাইপ চুরি করতে এসেছিল। একটি দশ চাকার ট্রাকে পাইপ পাচার চলছিল। এদিকে এলাকায় পুলিশী টহলদারি চললেও চোরেদের দেখে সন্দেহ হয়নি। কিন্তু চোরেরা পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে পালানোর চেষ্টা করতেই পুলিশ পাকড়াও করে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই চুরির বিষয়টি জানা গেছে।
ধৃতদের কাছ থেকে একটি দশ চাকার ট্রাক ও একটি গাড়ি উদ্ধার হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে এও জানা যায় যে, এই চক্রের পান্ডারা শ্রমিকদের সাথে যোগাযোগ করে বলত, “সরকারী জল প্রকল্পে কাজ করতে হবে। কাজ বলতে, পাইপ ট্রাকে তোলা।” এই কাজের জন্য মাথা পিছু ৫০০ টাকা দেওয়া হত আর জ্যাকেট এবং হেলমেটও দেওয়া হত।
![- Sponsored -](https://indianprimetime.in/wp-content/uploads/2021/02/advertisehere.png)
- Sponsored -
কিন্তু শ্রমিকরা জানতেন না তাদের দিয়ে পাইপ চুরি করানো হচ্ছে। সোমবার ধৃতদের বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক বিধান মুন্ডা, অনুপম বিশ্বাস, সুব্রত সরকার ও শাহরুখ আহমেদ মণ্ডলকে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। আর বাকি পাঁচ জনকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
নদীয়ার চাকদহের বাসিন্দা শাহরুখ ওই চক্রের পান্ডা। পুলিশ সূত্রে খবর, মাটিয়া, হাওড়া, পাথরপ্রতিমা, হুগলী সহ রাজ্যের বিভিন্ন থানা এলাকায় একই কায়দায় পাইপ চুরি চলছিল। গোপালনগর থানার কামদেবপুর এলাকা থেকে আশিটি পাইপ চুরি হয়েছিল। ধৃতদের জেরা করে গতকাল অবধি মোট ত্রিশটি পাইপ উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এই চক্রের আরো কয়েক জন পাণ্ডা আছে। ধৃতদের জেরা করে মূল পাণ্ডাদের খোঁজ শুরু করা হয়েছে। এই পাইপ চুরির বিষয়ে কোনোদিন এলাকাবাসীরা কোনো টের পাননি।