নিজস্ব সংবাদদাতাঃ পূর্ব মেদিনীপুরঃ সোমবার রাতেরবেলা পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার বাকচা পঞ্চায়েতের গোরামহল এলাকায় বিজেপির বুথ কমিটির সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে (৬০) খুনের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বিজেপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে বাইপাসের ধারে দলীয় পতাকা হাতে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান।
আজ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিজয়কৃষ্ণবাবুর পরিবারের সাথে দেখা করতে ময়না পৌঁছে ১২ ঘণ্টা বন্ধের ডাক দেন। এরপর বিক্ষোভস্থলে পৌঁছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে জানান, ‘‘বিজেপি কর্মীদের অপরাধ যে পদ্ম পতাকা হাতে রাস্তায় নামেন। আর এর জন্যই মরতে হয়। বাকচা এলাকার সহস্রাধিক বিজেপি কর্মী তৃণমূলের মিথ্যা মামলার কারণে জেল খেটেছে।
তৃণমূলের দুর্বৃত্তরা ময়নাকে জঙ্গলের রাজত্বে পরিণত করেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশকে দলদাসে পরিণত করেছেন। আমাদের উপর ভরসা রাখুন। সমাধান হবে। পূর্ব মেদিনীপুরের বহু জায়গায় স্থায়ী শান্তি ফিরেছে। ময়নাতেও ফিরবে। এই হত্যাকে সাক্ষী রেখে বলে গেলাম আপনারাও স্থায়ী শান্তি পাবেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ও তার পুলিশকে সাঁড়াশিতে আটকাতে হয় কিভাবে, সে বুদ্ধি শুভেন্দু অধিকারীর আছে। আমি তা করে দেখাব।’’
কিন্তু তৃণমূলের তরফ থেকে বিজেপি কর্মীকে খুনের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা মনোরঞ্জন হাজরা ময়নার ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘কয়েক দিন আগে গোরামহল গ্রামের বাসিন্দা সরস্বতী মণ্ডলের বাড়িতে হামলা এবং ভাঙচুরের ঘটনায় ময়না থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। সেই ঘটনার জেরেই সোমবার বিকেলবেলা বিজয়কৃষ্ণের সাথে কয়েক জনের ঝামেলা হয়।
তারপর নিজেদের মধ্যে মারামারির ঘটনাতেই মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। তবে এর পিছনে রাজনীতির কোনো যোগ নেই। বিজেপি কর্মীরা ঘটনাটিতে রাজনৈতিক রং লাগিয়ে রাতভর তৃণমূল কর্মীদের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। কিন্তু যে বা যারা দোষী, তাদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার দাবী জানানো হচ্ছে।’’