নিজস্ব সংবাদদাতাঃ শিলিগুড়িঃ বিয়ের দশ বছর পরেও সন্তান হয়নি বলে বছর খানের আগে গৃহবধূকে শ্বশুরবাড়ি থেকে চোপড়ার বলরামপুরে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এরপর গৃহবধূর মা ধার-দেনা করে শিলিগুড়িতে অনেক খরচ করে ডাক্তারও দেখাতে নিয়ে যেতেন। তারপর পরে এক দিন জানান, ‘‘মেয়ের ঘরে ছেলে হয়েছে।’’
জানা যায়, মেয়ে অঞ্জুকে বাঁচাতে মা সীতা দাস অন্যের সন্তান নিয়ে এসেছে। উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এই শিশু চুরি ঘটনায় সীতা দেবী ও অঞ্জুকে গ্রেফতার করেছেন। সীতা দেবীর স্বামী চা কারখানার শ্রমিক। আর দুই জন ছেলের মধ্যে এক জন ছেলের ছোটো দোকান, আরেক জন টোটো চালায়।
![- Sponsored -](https://indianprimetime.in/wp-content/uploads/2021/02/advertisehere.png)
- Sponsored -
কিন্তু মেয়ে নিঃসন্তান হওয়ায় শ্বশুরবাড়িতে অশান্তি লেগেই থাকত। এই কারণে অঞ্জুকে বাঁচাতে গিয়েই এমন কাণ্ড ঘটালেন। ঠাকুমা অমলা দেবী এই প্রসঙ্গে জানান, ‘‘নাতনীর গর্ভে সন্তান এসেছিল শুনেছিলাম। ওর মা ওকে ডাক্তার দেখানোর নাম করে নিয়ে গিয়েছিল। আর দু’দিন পর ছেলে কোলে বাড়ি ফেরে। ওদের দেখতে শ্বশুরবাড়ির লোকও আসে।
ভেবেছিলাম, এবার হয়তো সংসারটা বাঁচবে। পরে শুনছি, ওর সন্তান গর্ভেই মারা যায়।’’ পুলিশ আসার পর বিষয়টি জানাজানি হতেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকা জুড়ে হইচই পড়ে যায়।