নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নয়া দিল্লিঃ গত বছর আসানসোলে কম্বল বিতরণী অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে কয়েক জনের মৃত্যুর জেরে দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা দপ্তর ও আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ যৌথ ভাবে অভিযান চালিয়ে নয়ডায় যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে গ্রেফতার করেছেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে।
উল্লেখ্য, গত বছর ১৪ ই ডিসেম্বর আসানসোলের রামকৃষ্ণডাঙায় শিবচর্চা এবং কম্বল বিতরণ কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়েছিল। ওই অনুষ্ঠানে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও আসানসোল পুরনিগমের বিরোধী দলনেত্রী তথা জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী চৈতালি তিওয়ারি উপস্থিত ছিলেন। এরপর শুভেন্দু অধিকারী ওই অনুষ্ঠান ছেড়ে চলে যাওয়ার পর কম্বল নেওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি শুরু হয়। তাতে পদপিষ্ট হয়ে তিন জনের মৃত্যু হয়।
আর বেশ কয়েক জন আহত হয়েছিলেন। এই ঘটনায় চৈতালি তিওয়ারি সহ মোট তিন জন কাউন্সিলারের নামেও অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তাই দুর্গাপুর-আসানসোল পুলিশ কমিশনারেটের কর্মীরা চৈতালি তিওয়ারিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে তাঁর ফ্ল্যাটে যান। কিন্তু ফ্ল্যাট তালাবন্ধ দেখে কয়েক বার নোটিশও দিয়ে আসেন। তবে দম্পতির দেখা পাওয়া যাচ্ছিল না।
এই আবহে গত বছরের ২২ শে ডিসেম্বর চৈতালি তিওয়ারির আবেদন মেনে কলকাতা হাইকোর্ট তাঁকে অর্ন্তবর্তীকালীন রক্ষাকবচ দেয়। পাশাপাশি তদন্তে সহযোগীতা করার নির্দেশও দেন। কিন্তু ১০ ই ফেব্রুয়ারী পাল্টা একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা চৈতালি তিওয়ারির বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন। তারপর উভয়ই হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেন।
তবে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। তারপর সম্প্রতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি সেই একই আবেদন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন। শুক্রবার আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা ছিল। তার মাঝেই জিতেন্দ্র তিওয়ারি গ্রেফতার হলেন।