অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ বাজেট অধিবেশনের দিন রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য তিন শতাংশ মহার্ঘ ভাতার ঘোষণা করেছিলেন। এরপর গতকাল নবান্ন একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, রাজ্য সরকার পঞ্চায়েত কর্মী, সরকারী কর্মচারী, সরকার অধিগৃহীত সংস্থা, সরকার অনুমোদিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকার অনুমোদিত স্বশাসিত সংস্থা, পুরসভা, পুর নিগম ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মীদের জন্য ডিএ ঘোষণা করছে।
১ লা মার্চ থেকে কর্মীরা ছয় শতাংশ হারে ডিএ পাবেন। ২০২১ সালের জানুয়ারী মাসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিন শতাংশ হারে ডিএ বাড়িয়েছিল। এবারের বাজেটে আরো তিন শতাংশ যুক্ত হয়েছে। কিন্তু ১০ ই মার্চ এই বিজ্ঞপ্তি জারির পরেও ক্ষোভ কমেনি। ডিএর দাবীতে আগামী প্রশাসনিক ধর্মঘটের ডাকও দিয়েছেন।
কো-অর্ডিনেশন কমিটি কমিটির তরফে বিশ্বজিৎ গুপ্ত চৌধুরী জানান, ‘‘আমরা আমাদের হকের জন্য লড়াই করছি। তাই তিন শতাংশ ডিএ ঘোষণার পরেও প্রতিবাদে শামিল হয়েছিলাম। আর এই বিজ্ঞপ্তি জারির পরেও তা জারি থাকবে। সরকারী কর্মচারীরা ভিক্ষা চান না। চান নিজেদের অধিকার। ১০ ই মার্চ প্রশাসনিক ধর্মঘট হবে। ৩৫ শতাংশ ডিএ আমাদের দিতেই হবে।’’
বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী সমিতির নেতা স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘সরকারের বেতন সংক্রান্ত যে পোর্টালটি রয়েছে সেখানে সরকারী কর্মচারীদের তিন শতাংশ ডিএ প্রত্যাখ্যান করার সুযোগ দেওয়া হোক।’’ তবে তৃণমূল সরকারী কর্মচারী ফেডারেশনের নেতা মনোজ চক্রবর্তী ধীরে চলো নীতি বলেছেন, ‘‘আগামী ১৫ মার্চ সুপ্রিম কোর্টে আমাদের ডিএ সংক্রান্ত মামলার শুনানি রয়েছে।
ওই শুনানির আগে ডিএ নিয়ে কোনো পক্ষেরই বিরূপ মন্তব্য করা উচিত নয়।’’ বামফ্রন্ট জমানাতেও বার বার ডিএর দাবীতে সরব হতাম। তখন সরকারের কাছে স্ট্যান্ডিং অর্ডারের দাবী করতাম। সেই সময় দাবী মানা হলে আজ কেন্দ্রীয় হারে ডিএ পেতাম। তাই কো-অর্ডিনেশন কমিটির বন্ধুদের বলব, কোনো মন্তব্য করার আগে যেন জমানাটাও মনে রাখেন।’’