নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মালদাঃ আজ মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের দক্ষিণ তালশুর গ্রামের একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের নানা খাতে বরাদ্দ অর্থ আত্মসাৎ করে কেন্দ্রের পুরোনো ভবন ভেঙে দোতলা বাড়ি তৈরী করার অভিযোগ উঠলো হরিশ্চন্দ্রপুর দুই নম্বর ব্লকের মালিওর দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ তালশুর গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী সাইনুর খাতুন ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে।
এছাড়া এও অভিযোগ উঠছে যে, ওই কেন্দ্র থেকে গ্রামের বাচ্চারা ভালো খাবার পায় না। এই ঘটনায় বিক্ষোভকারী অভিভাবকেরা সরব হয়ে বিক্ষোভ করেছেন। এদিন এই নিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর দুই নম্বর ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক (বিডিও) বিজয় গিরির কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন যে, ‘‘সাইনুর এবং তার স্বামী পরিকল্পনা করে এই কেন্দ্রের পুরোনো বিল্ডিং ভেঙেছেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereআর সেখানে নিজেদের বসবাসের জন্য দোতলা অট্টালিকা তৈরী করেছেন। অথচ ওই কেন্দ্রে শিশু ও মায়েদের বসার জায়গা নেই। দীর্ঘ দিন ধরে নিয়ম অনুযায়ী খাবারও দেওয়া হচ্ছে না। শিশুরা খাবার চাইতে গেলে তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।’’ এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে সাইনুর জানান, ‘‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার সমীক্ষার কাজে যুক্ত থাকায় চক্রান্ত করে ফাঁসানো হচ্ছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereযারা এ সব বলছেন, ভুল বলছেন। আবাস যোজনায় সার্ভে করা সেখানে যাদের নাম ওঠেনি তারাই ক্ষতি করার হুঁশিয়ারী দিয়েছিলেন। আমার স্বামী ব্যবসা করেন। এলআইসির এজেন্ট। দু’বস্তা চাল বিক্রি করে কি আমি দোতলা বাড়ি করে নিতে পারি?’’ বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য কিসান কেডিয়া বলেন, ‘‘ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereকেন্দ্রীয় সরকার বাচ্চাদের জন্য পুষ্টিকর খাদ্যের ব্যবস্থা করেছে। তবে এ রাজ্যের তৃণমূল সরকার গরীব বাচ্চাদের ওই খাবার দিচ্ছে না। তৃণমূলের নেতারা ওই অঙ্গনবাড়ির কেন্দ্রের টাকা ভাগ করে গাড়ি-বাড়ি করছেন। তৃণমূলের বিদায়ের ঘণ্টা বেজে গিয়েছে। আর কেন্দ্রীয় সরকারকে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের আয়ের উৎস নিয়ে তদন্ত করে দেখার জন্য অনুরোধ করব।’’
জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব প্রকৃত ঘটনা খতিয়ে দেখে প্রশাসন পদক্ষেপ করবে বলে দাবী করেছেন। জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খান বলেছেন, ‘‘বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তে ওই কর্মী দোষী প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’