অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ এবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী নবম-দশম শ্রেণীর ৬১৮ জন শিক্ষকের সুপারিশপত্র বাতিল করা হয়েছে।। গতকাল এসএসসি (স্কুল সার্ভিস কমিশন) ওই ৬১৮ জনের নাম প্রকাশ করে বিজ্ঞপ্তি জারি করল। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ তাদের নিয়োগপত্র বাতিল করবে।
আগেই এসএসসি নবম-দশম শ্রেণীর শিক্ষক নিয়োগে দু্র্নীতির কথা স্বীকার করে নিয়েছিল। এসএসসির সভাপতি সিদ্ধার্থ মজুমদার জানিয়েছিলেন, ‘‘নির্দিষ্ট আইন মেনে ২০১৬ সালের নবম-দশম শ্রেণীর নিযুক্ত শিক্ষকদের তালিকা থেকে অযোগ্য ৮০৫ জনেরও বেশী শিক্ষকের বিরুদ্ধে পর্যায়ক্রমে পদক্ষেপ করা হবে। সেই মতো প্রথম ধাপে ৬১৮ জনের চাকরী বাতিল হওয়ার পথে।’’
এসএসসির তরফে জানানো হয়েছে, চাকরী বাতিল হওয়া প্রার্থীদের মধ্যে অনেকে সাদা খাতা জমা দিয়েছিলেন। অনেকে দুই বা তিন পেয়েছেন। নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে আপাতত ৬১৮ জন অযোগ্য প্রার্থীর নাম প্রকাশ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরো অযোগ্য প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করা হবে।
সিবিআই (সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন) তদন্তে নেমে গাজিয়াবাদ থেকে ৯৫২ জনের উত্তরপত্র (ওএমআরশিট) উদ্ধার করেছিল। যা ২০১৬ সালের এসএসসির নবম-দশম শ্রেণীর চাকরী প্রার্থীদের। ওই উত্তরপত্রে প্রাপ্ত নম্বরের সাথে সার্ভারের ব্যাপক পার্থক্য ধরা পড়ে। কারোর কারোর নম্বরের পার্থক্য ৫৩। এই ৯৫২ জনের মধ্যে এসএসসি ৮০৫ জনের ওএমআর শিট খতিয়ে দেখে বিকৃত করা হয়েছে বলে মেনে নেয়।
উল্লেখ্য, বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু কমিশনকে নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে ওই ৮০৫ জনকে চাকরী থেকে বরখাস্ত করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই অনুযায়ী এসএসসি দুর্নীতির কথা স্বীকার করে এই সপ্তাহ থেকে সুপারিশপত্র বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করার কথা জানিয়েছিল। গতকাল সেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।