মিনাক্ষী দাসঃ উত্তর চব্বিশ পরগণাঃ উত্তর চব্বিশ পরগণার দত্তপুকুরের পর আজ দেগঙ্গার চাকলা গ্রাম পঞ্চায়েতের পাথরঘাটা এলাকায় ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচীতে দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর সামনেই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ল। যা নিয়ে ফের জল্পনা শুরু হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচীর অঙ্গ হিসাবে দিদির দূত সুজিত বসু বিধায়ক রহিমা মণ্ডল, দলীয় কর্মী সহ পুলিশ আধিকারিকদের সাথে দেগঙ্গায় পৌঁছান। এরপর চাকলার মন্দিরে পুজো দেন। এমনকি একটি মসজিদেও যান। কিন্তু এলাকাবাসীদের অভাব-অভিযোগের কথা শোনেননি।
আর দলীয় কর্মসূচী অনুযায়ী দুপুরবেলা এলাকার এক তৃণমূলকর্মীর বাড়িতে খাওয়ার কথা ছিল। তবে মন্ত্রী-বিধায়কের জন্য তৃণমূলের আরেক কর্মীর বাড়িতেও খাওয়াদাওয়ার আয়োজন করা হয়েছিল। এর জেরে কোথায় খাবেন এই নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তুমুল অশান্তি শুরু হয় যা হাতাহাতির পর্যায় চলে যায়।
![- Sponsored -](https://indianprimetime.in/wp-content/uploads/2021/02/advertisehere.png)
- Sponsored -
সুজিত বসুর সামনেই বিবাদ চলতে থাকে। দেগঙ্গা থানার পুলিশ খবর পেয়ে বিশাল বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হন। যদিও সুজিত বসু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আগেই তা আয়ত্তে নিয়ে আসেন। পরে সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি জানান, ‘‘হাতাহাতি হয়েছে, এ কথা ঠিক নয়। একটু ঝগড়াঝাঁটি হয়েছিল। আমি মনে করি না দলে কোনো গোষ্ঠী রয়েছে।
আমার সকলের সাথে ভালো সম্পর্ক রয়েছে। কথাবার্তাও হয়। দুপুরবেলা খাওয়ার সূচী অফিস থেকে পাঠিয়েছে। ওরা বলছে, আমাদের সিডিউলে খাওয়ার কথা ছিল। আমাদের কাছে যে সূচী ছিল, তাই মানা হয়েছে। দুপুরবেলা খাওয়ার পর অন্য যে কর্মীর বাড়িতে খাওয়াদাওয়ার আয়োজন করা হয়েছিল সেখানেও যাওয়া হবে।
আর খাওয়াটা বড় কথা নয়। সকলের সাথেই দেখা করে নেব। দলের কর্মীর বাড়িতে খেলাম। এখানকার বিশিষ্টদের সাথে কথা বললাম। কারোর ক্ষোভ থাকলে, সেটাই তো শোনার জন্য এসেছি। সেটার সমাধান করার জন্যই এসেছি। খাওয়ার জায়গা নিয়ে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। সেটা মিটে গিয়েছে।’’