নিজস্ব সংবাদদাতাঃ আসানসোলঃ আসানসোলের বিশেষ সিবিআই (সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন) আদালতে অনুব্রত মণ্ডলকে পেশ করার আগেই আসানসোল সংশোধনাগারে সিবিআই আধিকারিকরা হাজির হলেন। সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, বীরভূমের সিউড়ি কো-অপারেটিভ ব্যাংকে থাকা ভুয়ো অ্যাকাউন্ট নিয়ে তদন্তকারীরা অনুব্রত মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
বুধবার সিবিআইয়ের আইনজীবী আদালতেও এই বিষয়টি তুলে ধরেন। অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী অবশ্য জামিনের আবেদন করেননি। চোদ্দ দিন পর এদিন অনুব্রত মণ্ডলকে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করা হয়। এই মামলায় জামিনের জন্য কলকাতা হাইকোর্টে আগেই আবেদন করা হয়েছিল। উচ্চ আদালত জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
গত চোদ্দো দিন ধরে আসানসোল সংশোধনাগারে থাকাকালীন সিবিআই গোরু পাচারকাণ্ডে বীরভূম জেলার সিউড়ি কোঅপারেটিভ ব্যাংকে বেনামে থাকা প্রায় ২৩১ টি ভুয়ো অ্যাকাউন্টের হদিস পান। যার মধ্যে দুইশোটি অ্যাকাউন্ট একজনের সই দিয়ে খোলা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ম্যানেজারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
এই রকম আরো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই ভুয়ো অ্যাকাউন্ট থেকে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে আর্থিক লেনদেনের হদিশ পাওয়া যায়। এই অ্যাকাউন্টগুলি যাদের নামে খোলা হয়েছে, তাদের কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে যে, গ্রাহকরা পঞ্চায়েতে আধার কার্ড জমা দিয়েছিলেন। এই গোপন জবানবন্দিও আদালতে জমা দেওয়া হয়।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
বাফারিং অ্যাকাউন্টের কথাও তুলে ধরা হয়। আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবী দাবী করেন, আরো একটি নতুন গাড়ির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। দুই আইনজীবীরর বক্তব্য শুনে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী আগামী ৩ রা ফেব্রুয়ারী অবধি অনুব্রত মণ্ডলকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। ওই দিনই গরুপাচারকাণ্ডে আবার শুনানি হবে।
উল্লেখ্য যে, কয়েক মাস ধরে টাকা না দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তর ভোলে বোম রাইস মিলের বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবীর রাইস মিলের অ্যাকাউন্ট ‘ডিফ্রিজিং’ করার জন্য ও যাবতীয় বকেয়া মেটানোর জন্য আদালতে আবেদন জানান। বিচারক এই বিষয়ে আলাদা আবেদন করার নির্দেশ দিয়েছেন।