নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বীরভূমঃ বীরভূমের রামপুরহাটে অস্থায়ী সিবিআই ক্যাম্প চলাকালীন সিবিআই হেফাজতে মৃত্যু হলো বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের। শৌচাগার থেকে লাল রঙের গলায় গামছা জড়ানো অবস্থায় লালনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। কিন্তু এখনো অবধি এই মৃত্যু কি কারণে হয়েছে তা জানা যায়নি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিকেলবেলা ৪ টে ৫০ মিনিট নাগাদ মৃতদেহ ভিডিওগ্রাফি করে রামপুরহাট মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। এরপর লালনের পরিবারের সদস্যরা খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছে যায়। অন্য দিকে, পুলিশের আধিকারিকরা উত্তেজনা প্রশমন করতে সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরের সামনে পৌঁছে যায়। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, রামপুরহাটের এসডিপিও সহ অন্যান্য আধিকারিক উপস্থিত হন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
সমগ্র এলাকা ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। লালনের বিরুদ্ধে বগটুইয়ে আগুন লাগানোর অভিযোগ ছিল। কয়েক দিন আগে তাকে সিবিআই ঝাড়খণ্ডের পাকুড় এলাকার একটি বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। গত ৪ ঠা ডিসেম্বর রামপুরহাট আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক ছয় দিন হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
প্রসঙ্গত, গত ২১ শে মার্চ দুষ্কৃতীরা রামপুরহাটের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু শেখকে রামপুরহাটের বগটুই মোড়ে বোমা ছুঁড়ে খুন করে। আর সেই খুনের পর রাতেরবেলাই বগটুই গ্রামের কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। যার জেরে দশ জনের মৃত্যু হয়। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই সেই ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয়।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
সিবিআই তদন্ত চলাকালীন দাবী করে যে, লালন বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত। লালনই নিহত ভাদু শেখের ডান হাত ছিলেন। বিভিন্ন সময়ে ওই কাণ্ডে অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদে করে তার নাম উঠে আসে। এই কাণ্ডে মৃতদের আত্মীয় মিহিলাল শেখ লালনের ফাঁসির দাবী তুলে জানান, ‘‘সেদিন যে দলবল এসেছিল লালন তার নেতৃত্বে ছিল। আমরা লালনের ফাঁসির দাবী জানাচ্ছি। এটা মানুষও চাইছে।’’ আর এবার তার রহস্যমৃত্যু নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে।