অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ শৌচালয়ে রাখা বালতির জলে ডুবে তিন বছরের একটি শিশুর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এদিকে শিশুটির দেহ কবরস্থ করা হলেও পুলিশ কবর থেকে মৃতদেহ তুলে ময়নাতদন্ত করবেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত শিশুটির নাম রোহন মণ্ডল। বাবা বিজয় মণ্ডল ও স্ত্রী সোনি মণ্ডল জুতোর কারখানার কর্মী। বিজয় রোহন এবং সোনিকে নিয়ে পঞ্চান্নগ্রামে ভাড়া থাকেন। তবে ঘটনার পর আনন্দপুর থানার নোনাডাঙার শ্বশুরবাড়িতে আসেন। রবিবার হঠাৎ আবাসনের বাসিন্দারা কান্নার আওয়াজ শুনতে পেয়ে দরজা খুলে বাইরে বেরিয়ে দেখেন, ২০৬ নম্বর ফ্ল্যাটের দরজা খোলা।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
ঘরের ভিতরে খাটের উপরে প্লাস্টিক জড়ানো দেহ শোয়ানো রয়েছে। বিজয় এই বিষয়ে জানান, ‘‘রোহনের শৌচালয়ের বালতিতে পড়ে মৃত্যু হয়েছে। সোনি কাজে যাওয়ায় বাড়িতে একাই ছিলেন কিন্তু কোনো কারণে ঘর থেকে বেরিয়ে কিছুক্ষণ পরে ঢুকে দেখেন, রোহন শৌচালয়ের বালতিতে পড়ে গিয়েছে।’’
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
এরপর স্ত্রীকে কাজ থেকে ডেকে এনে দু’জনে মিলে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা শিশুটিকে মৃত বলেন। স্থানীয়দের দাবী, ‘‘প্রথম থেকেই বিজয় রোহনকে সহ্য করতে পারত না। এমন মারধর করে যে, নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বেরিয়ে যায়। তাই বিজয়কে এলাকাবাসীরা মারধর করে সাবধান করাতে পরে গিয়ে পঞ্চান্নগ্রামে ভাড়া থাকতে শুরু করে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
ঘটনার দিন রাতেরবেলাই স্বামী-স্ত্রী দেহ কবর দিতে চেয়েছিল। কিন্তু মৃত্যুর শংসাপত্র না থাকায় সারা রাত একটি প্লাস্টিকে জড়িয়ে ঘরে রেখে পরের দিন কবরস্থ করেন।’’ রোহনের দিদিমা এই ঘটনায় পুলিশের কাছে খুনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।