৮ টি মহিষ বলি দিয়ে পুজো হয় মহিষখাগী মা কালীর

Share

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নদীয়াঃ কথিত আছে, আনুমানিক সাড়ে পাঁচশো বছর আগে এক জন তান্ত্রিক পঞ্চমুণ্ডির আসনে বসে সাধনা করতে করতে মায়ের দর্শন পান। সেই থেকে নদীয়ার শান্তিপুরে মহিষখাগী কালী পুজোর সূচনা হয়। কিন্তু এই নামকরণের পিছনে একটি ইতিহাস লুকিয়ে আছে। যেখানে স্বপ্নে দেবী ওই তান্ত্রিককে মহিষের রক্ত দিয়ে পুজোর নির্দেশ দেন। তা থেকেই মহিষখাগী নাম হয়।

বস্তুত, শান্তিপুর তথা নদীয়ার প্রাচীন কালীপুজোগুলির মধ্যে অন্যতম মহিষখাগীর পুজো। কথিত আছে, এক বার রাজা কৃষ্ণচন্দ্র মায়ের কাছে আটটি মহিষ বলি দিতে এসেছিলেন। সেই বিশাল কর্মযজ্ঞ শেষ করতে রাত গড়িয়ে ভোর হয়ে যায়। তাই পুজোকে দুটি পর্যায়ে ভাগ করা হয়েছিল। বলির আগে অবধি পুজোর প্রথম পর্ব। আর বলির পরবর্তী সময়ে পুজোর দ্বিতীয় পর্ব।


এই পুজোয় একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, এখানে বিয়ের রীতি মেনে মহিষখাগীর পুজো হয়। প্রথম পাটে ওঠানোর দিনে বিভিন্ন নিয়ম রীতি থাকে। পাটে ওঠানোর পর মন্দির প্রাঙ্গণ পরিষ্কার করে সেই দিনই ভোররাতেরবেলা দধিমঙ্গল হয়। অমাবস্যা শুরু হলে বিয়ের রীতি মেনে পুজো হয়। পরের দিন বাসি বিয়ের রীতিতে পুজো শুরু হয়। পুজো শেষে প্রতিমা কাঁধে করে বিসর্জনের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।


স্বপ্নাদেশ পাওয়া ওই তান্ত্রিকের মৃত্যুর পর স্থানীয় একটি ব্রাহ্মণ পরিবার এই পুজো চালিয়ে নিয়ে যান। ওই পরিবারের একমাত্র কন্যার মৃত্যুর পর এলাকাবাসীরা পুজোর ভার নেন। যা আজও চলে আসছে। সকালবেলা পান্তাভাত ও খয়রা মাছ দিয়ে রান্না ভোগ দেওয়া হয়।


Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
July 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031