নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নদীয়াঃ গতকাল নদীয়ার কল্যাণীতে শহিদপল্লী চর কাঁচড়াপাড়ার বাজির বাজার এলাকায় একটি ক্লাবের পিছনে বারুদের আগুনে মারাত্মক ভাবে দগ্ধ হয়েছেন জীবন সিং ও সাগর বাগ নামে দু’জন ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি। বাড়ি স্থানীয় কাঁচরাপাড়া পঞ্চায়েতের দক্ষিণ কাছারিপাড়ায়।
এই অগ্নিকাণ্ডে জীবনবাবুর শরীরের ঊর্ধবাংশ ৭০ শতাংশ এবং সাগরবাবুর শরীর ৪০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। এই ঘটনার পর আহতদের কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও জীবনবাবু ও সাগরবাবুর অবস্থা আশঙ্কাজনক। যেখানে অগ্নিকাণ্ড ঘটে তার পাশেই পর পর সার দিয়ে বাজির দোকান থাকায় বড়ো অগ্নিকাণ্ডের সম্ভাবনা ছিল।
স্থানীয় সূত্রের খবর, দীর্ঘ দিন থেকে এই এলাকায় বাজি তৈরী এবং বিক্রির কারবার চলছে। সকালবেলা থেকেই বাজি বাজার বসে। প্রায় প্রকাশ্যেই শব্দবাজি বিক্রি হয়। রাস্তার উপর তুবড়ির মশলা ছড়িয়ে মেশানো হয়। দূর-দূরান্ত থেকে পাইকারী বা খুচরো খদ্দরেরা এখানে বাজি কিনতে আসেন। সংবাদমাধ্যম খোঁজখবর নিতে শুরু করতেই গত তিন দিনে পুলিশ তিন জনকে গ্রেফতার করে বেশ কিছু শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করলেও বাজি বাজার বন্ধ হয়নি। সার দিয়ে বাজির দোকান যথারীতি খুলেছে।
![- Sponsored -](https://indianprimetime.in/wp-content/uploads/2021/02/advertisehere.png)
- Sponsored -
কিন্তু অগ্নিকাণ্ড ঘটল কিভাবে তা অবশ্য পরিষ্কার ভাবে জানা যায়নি। আর জীবনবাবু ও সাগরবাবু এই বিষয় কিছুই বলতে চাননি। বারবার জিজ্ঞাসা করা হলে বিরক্ত হচ্ছেন। এদিকে এলাকায় প্যান্ডেল বাঁধার কাজ করতে আসা ২০ নম্বর ওয়ার্ডের রথতলা এলাকার বাসিন্দা মৃত্যুঞ্জয় ঘোষ জানান, “দু’জন অপরিচিত লোক বিড়ির আগুন দিয়ে তুবড়ি জ্বালাচ্ছিল। একটা তুবড়ি ফাটতেই ঝলসে গিয়েছে।”
পুলিশও কার্যত একই দাবী করেছেন। আর যে জায়গায় তুবড়ি ফাটার কথা বলা হচ্ছে, বিকালবেলা সেখান থেকে অনেকটা দূরে একটি গলির মধ্যেও পোড়া বারুদের গন্ধ পাওয়া গিয়েছে। তবে দুর্ঘটনাটির পরে আশপাশে সব বাজির দোকান বন্ধ হয়ে যায়। রাত অবধি খোলেনি। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এদিনই ওই বাজার থেকে ৪৭ কেজি শব্দবাজি সহ এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।