রায়া দাসঃ কলকাতাঃ রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল হিসাবে সহগল হোসেনকে বীরভূম জেলার তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গোরুপাচার কাণ্ডে সিবিআই (সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন) সহগলকে অভিযুক্ত প্রমাণিত করলেন।
২০১৫ সাল থেকে ২০২২ সালের মধ্যে তাঁর পরিবার মোট ৫৯ টি স্থাবর সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। বিপুল টাকার বিমা করিয়েছেন। এছাড়া বিপুল পরিমাণে গহনা ও দামী গাড়িও কিনেছেন। সিবিআই সহগলের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ইতিমধ্যেই বিপুল পরিমাণে গহনা এবং কমপক্ষে ৪৪ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
যার অনেকটাই গোরু পাচারের লাভের টাকায় কেনা বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ ওই সময়ের মধ্যে সহগলের পুলিশের চাকরী করে ২৬ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা উপার্জন ছিল। এখন ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের সাথে তার ওই আয় বহির্ভূত সম্পত্তি ও অর্থের যোগসূত্রের সন্ধান চলছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
অতিরিক্ত জেলা সাব রেজিস্ট্রার থেকে সিবিআইয়ের সংগ্রহ করা তথ্যে উঠে এসেছে, বীরভূমের সিউড়ি, বোলপুর, ইলামবাজারের পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের ডোমকল, উত্তর চব্বিশ পরগণার রাজারহাট এবং বিধাননগরে সহগলের সম্পত্তি রয়েছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
সিউড়ির সাত ও বীরভূমের এডিএসআরে নথিভুক্ত চারটি সম্পত্তি ১ কোটি ১৪ লক্ষ টাকা। বোলপুরের সাতটি সম্পত্তির মোট বাজারমূল্য এক কোটির বেশী। ডোমকলে বাড়ি এবং অন্য ৩৫ টি সম্পত্তির মূল্য ২ কোটি ৫৭ লক্ষ টাকারও বেশী। ইলামবাজারের সহগলের মালিকানাধীন একটি নির্মীয়মাণ পেট্রোল পাম্পেরও হদিশ পাওয়া গিয়েছে।
উত্তর চব্বিশ পরগণার রাজারহাট ও বিধাননগর এলাকায় তিনটি ফ্ল্যাটেরও সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। রাজারহাটের দুইটি ফ্ল্যাটের (একটিতে গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা সহ) মোট আনুমানিক দাম ৫৫ লক্ষ টাকারও বেশী। তাছাড়া নিউটাউনের একটি ফ্ল্যাটের কথাও জানা গিয়েছে।
তার এবং পরিবারের মোট ন’টি বিমার সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এমনকি মোট ৪২ লক্ষ টাকা দামের দু’টি গাড়ি, প্রায় ৩৮ লক্ষ টাকার গহনা সহ ২২ লক্ষ টাকা ব্যাঙ্ক আমানতের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে সম্পত্তির মূল্য চার কোটি ১০ লক্ষ টাকারও বেশী ছিল বলে আপাতত তদন্তে উঠে এসেছে।