নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বীরভূমঃ বিশ্বভারতীতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের অন্তিম বর্ষের পরীক্ষার দাবী তুলে পড়ুয়ারা বিক্ষোভ শুরু করেছে। পড়ুয়ারা সমগ্র বিষয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তথা উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন। তবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে পুরোপুরি নিশ্চুপ।
অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার দাবীকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভের জেরে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকটি পরীক্ষা বাতিল করায় আবারও পড়ুয়ারা ওই পরীক্ষাগুলি নেওয়ার দাবীতে আজ একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়ারও কর্মসূচী ছিল।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল অফিসে স্মারকলিপি জমা দিতে গিয়ে পড়ুয়ারা জানায় যে, ‘‘পড়ুয়াদের সামনেই গেটে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। ফলে অফিসের পিছনের বেড়া ভেঙে গেট টপকে ভিতরে প্রবেশ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে নোটিশে বলা হয়েছিল যে ৮ ই জুলাই পরীক্ষার সম্পর্কে জানানো হবে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
তবে দশ দিন কেটে গেলেও অন্তিম বর্ষের পরীক্ষা নিয়ে কোনো কিছু বলা হচ্ছে না। পড়ুয়াদের ছোটোখাটো সমস্যা। যেগুলি দু’মিনিটে সমাধান করা যায় তবে তা নিয়ে এতো টালবাহানা করা হয় যে বড়োসড়ো আন্দোলনের আকার নেয়। আর উপাচার্যই বিশ্বভারতীতে সব সমস্যার মূলে রয়েছেন।’’
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
বিক্ষোভের আবহেই এদিন দুপুর ৩ টের সময় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ কেন্দ্রীয় সরকারের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশনাল র্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্কের প্রকাশিত তালিকায় বিশ্বভারতীর অবমনন নিয়ে লিপিকা প্রেক্ষাগৃহে একটি জরুরী বৈঠক ডাকেন। যেখানে বিশ্বভারতীর আধিকারিক সহ সমস্ত ভবনের অধ্যক্ষরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশনাল র্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্কের তালিকায় দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ৯৮ নম্বরে রয়েছে। এদিকে গতবার ওই তালিকারই ৬৪ নম্বরে ছিল।