মত্ত চিকিৎসকের ভুল চিকিতসায় প্রাণ হারালো ১ তরুণ

Share

মিনাক্ষী দাসঃ উত্তর চব্বিশ পরগণাঃ এবার উত্তর চব্বিশ পরগণার কল্যাণী জেএনএম হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজের কর্তব্যরত চিকিত্সকের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে যে, মত্ত অবস্থায় ওই চিকিত্সক ১৯ বছর বয়সী এক তরুণ রোগীর হাতের ব্যান্ডেজ খুলে দেওয়াতেই রক্তক্ষরণ শুরু হয়ে যায়।

এরপর সেই রক্তক্ষরণ আর না থামায় মৃত্যু হয় তরুণের। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে যে, গতকাল কল্যাণী পুরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা নয়ন গোয়ালা বাড়ির অক্যুরিয়াম পরিষ্কার করছিল। আচমকা সেটি গায়ে পড়তেই কাচ ভেঙে নয়নের হাতের শিরা কেটে যায়।


তারপর তাকে গুরুতর জখম অবস্থায় কল্যাণীর জেএমএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে এমার্জেন্সি বিভাগে প্রাথমিক চিকিত্সার হাতে ব্যান্ডেজ বেঁধে দেওয়া হয়। এরপরেও নয়নের অবস্থার অবনতি হতে দেখে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরী হচ্ছিল।


এমন সময় মত্ত অবস্থায় এক জন চিকিত্সক এসে জানান, “আমি সব ঠিক করে দেব, আমি ভগবান।” তারপরেই তিনি এসে নয়নের হাতের ব্যান্ডেজ খুলে দিতেই প্রবল রক্তক্ষরণ শুরু হয়ে যায়। সেই রক্তক্ষরণ আর থামানো যেতে না পেরে তাকে আইসিইউতে ভর্তি করা হলে আজ ভোরবেলা মৃত্যু হয়। 


এই ঘটনায় হাসপাতালের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। যাতে বলা হয়েছে, যদি ওই চিকিত্সকের মত্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কিন্তু কল্যাণী কলেজ অফ্ মেডিসিন এন্ড জেএনএম হাসপাতালের প্রিন্সিপ্যাল অধ্যাপক সুবিকাশ বিশ্বাস বলেন, “পেশেন্টকে প্লাস্টিক সার্জারির জন্য স্থানান্তর করা হয়েছিল। তখন একজন পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেনি ড্রেসিংটা খোলে। আর রক্তক্ষরণ বন্ধ করার চেষ্টা করে। তবে বড়ো ধমনী কেটে যাওয়ায় তা করতে তা ব্যর্থ হয়।

এছাড়া ওই রোগী বাড়ি থেকেই খারাপ অবস্থায় এসেছিল। এখানে এসে অবস্থার আরো অবনতি হলে আইসিইউতেও নেওয়া হয়। কিন্তু বাঁচানো স্মভব হয়নি। যদিও এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতাল চত্বর জুড়ে তীব্র উত্তেজনা শুরু হয়ে যায়।

Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
May 2025
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031