নিজস্ব সংবাদদাতাঃ কেরলঃ গতকাল কেরলের ওয়ানাডে কংগ্রেস নেতা ও সাংসদ রাহুল গান্ধীর অফিসে ভাঙচুরের ঘটনায় বাম ছাত্র সংগঠন ভারতের ছাত্র ফেডারেশনের দিকেই অভিযোগ উঠছে। বাংলাতেও এই ঘটনার আঁচ এসে পড়েছে। বাংলাতেও সিপিএম ও কংগ্রেস পারস্পরিক বিবাদে জড়িয়ে পড়েছে।
এই রাজ্যের কংগ্রেস নেতাদের একাংশ সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআইকে দায়ী করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে শুরু করেন। সিপিএম নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এই প্রসঙ্গে জানান, “বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ঘটনা ঘটতেই পারে, যা কাম্য নয়। ভুলবোঝাবুঝি থাকলে মিটিয়ে নিতে হবে।
কিন্তু একদল আছেন, কংগ্রেস এবং অন্য দলে যারা বর্ণচোরা হয়ে থাকেন। তারা ঐক্য চান না। ঐক্য নষ্ট করতে চান। অশোভন কথা বলে কর্মীদের উত্তেজিত করছেন। এটা তারাই করছেন যারা বিজেপি তৃণমূলের সাথে গোপন আঁতাত রেখে চলেছেন।”
অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা আইনজীবী ঋজু ঘোষাল বলেন, “আমার বাড়ি ভেঙে দিলে আমি কি কীর্তন করবো? আমার দলের নেতার অফিস ভেঙে দিয়েছে আর তার প্রতিবাদ করব না? জামাই আদর করবো? জোটসঙ্গী ছিলাম বলে কি দাসখত লিখে দিয়েছি নাকি।
বিকাশ বাবু দেখান যে, কোন ম্যানুয়ালে লেখা আছে জোট ধর্মের দাম কংগ্রেসকেই দিতে হবে।” যদিও এই ঘটনার আগেও সিপিএম কংগ্রেস কর্মীরা একাধিক ইস্যুতে তর্জায় জড়িয়ে পড়েছেন।
উল্লেখ্য যে, সুপ্রিম কোর্টের একটি সাম্প্রতিক নির্দেশে বলা হয়েছে প্রতিটি সংরক্ষিত অভয়ারন্যে ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষন এলাকার সীমানার এক কিলোমিটারের মধ্যে ইকো সেন্সিটিভ জোন থাকতে হবে। অভিযোগ ওঠে যে শতাধিকের বেশী এসএফআই কর্মী ওয়ানাড জেলার সদর দপ্তর কালপেট্টায় রাহুল গান্ধীর অফিসের দিকে মিছিল করেন।
এরপর তার অফিসে ভাঙচুর চালায়। আর এলাকায় পুলিশ উপস্থিত থাকলেও এসএফআই কর্মীদের প্রতিহত করেননি। এসএফআই কর্মীদের দাবী ছিল, সাংসদ রাহুল গান্ধীর এলাকার মানুষের সমস্যা এবং উদ্বেগ দূর করার ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করা প্রয়োজন। এই নির্দেশ কার্যকর হলে জেলার একটি বড়ো অংশ এর আওতায় চলে আসবে।
কেরলে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বলেন, “দেশে প্রতিটি মানুষের অধিকার আছে গণতান্ত্রিক উপায়ে নিজের রাজনৈতিক বক্তব্য তুলে ধরার ও প্রতিবাদ করার। যদিও এই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”