নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নয়া দিল্লিঃ এবার কেন্দ্রীয় সরকার দুটি সরকারী ব্যাঙ্ককে বেসরকারীকরণ করতে চলেছে। ব্যাঙ্কিং রেগুলেশন অ্যাক্ট পরিবর্তন করে সরকারী ব্যাঙ্কে বেসরকারী বিনিয়োগের পথ প্রশস্ত করা হচ্ছে। আর লোকসভার আগামী মনসুন সেশনে কেন্দ্রীয় সরকার এই সংক্রান্ত একটি বিল পাশ করতে চায়।
গত বছর কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সিতারামন বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার বেশ কিছু সরকারী ব্যাঙ্ককে বেসরকারীকরণ করার কথা ভাবছে। সেই কারণেই ব্যাঙ্ক কন্ট্রোল আইন ১৯৪৯ ও ব্যাঙ্ক জাতীয়করণ আইন ১৯৭০ এবং ১৯৮০ সংশোধন করতে চায়।”
অর্থমন্ত্রক সূত্রে জানা যায়, সরকারের তরফ থেকে এই কাজ শু্রু হয়েছে। ব্যাঙ্কিং রেগুলেশন আইনের ড্রাফট তৈরীর কাজও শুরু করা হয়েছে। লোকসভার আগামী মনসুন সেশনে এই বিল পাস করাতে চাইলে বিরোধী দলগুলি এর বিরোধীতা করবে তবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় সরকার এই বিল পাশ করাতে সক্ষম হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
সংসদে সংশোধনী পাশ হলে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির বেসরকারীকরণে কোনো বাধা থাকবে না। এরপর রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বেসরকা্করীরণের প্রক্রিয়া শুরু হবে। কিন্তু কোন দুটি ব্যাঙ্কের বেসরকারীকরণ করা হবে তা এখনো ঘোষণা করা হয়নি।
তবে কেন্দ্রীয় সরকার প্রাথমিকভাবে চারটি মাঝারি আকারের ব্যাঙ্ককে বেসরকারীকরণের জন্য বেছে নেয়। বেসরকারীকরণের জন্য প্রাথমিক তালিকায় যে চারটি ব্যাঙ্ক রাখা হয়েছিল তা হলো ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, ব্যাঙ্ক অফ মহারাষ্ট্র, ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্ক ও সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া।
পরবর্তীকালে নীতি আয়োগ ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্ক এবং সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার বেশিরভাগ শেয়ার বিক্রি করার প্রস্তাব করে। ফলে কেন্দ্রীয় সরকার নীতি আয়োগের এই প্রস্তাবে সায় দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এছাড়া বিপিসিএলের বেসরকারীকরণ প্রক্রিয়াও দ্রুত শেষ করতে চায়। কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে থাকা বিপিসিএলের মাত্র ৫২.৩ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করা হবে। এর আগেও কেন্দ্রীয় সরকার বিপিসিএলের শেয়ার বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছিল।
প্রাথমিকভাবে তিনটি কোম্পানী বিপিসিএলের শেয়ার কেনার আগ্রহ দেখায়। কিন্তু শেষ অবধি এই প্রতিযোগীতায় একটি কোম্পা্নী টিকে আছে বলে জানা গিয়েছে।