গৃহকর্ত্রীর হাতেই খুন হলেন পরিচারিকা বৃদ্ধা

Share

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বর্ধমানঃ পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরের বারাপুর এলাকায় ষাটোর্ধ্ব এক বৃদ্ধা পরিচারিকাকে খুনের অভিযোগ উঠলো ৫০ বছর বয়সী এক গৃহকর্ত্রী কাকলি রায়ের বিরুদ্ধে। মৃত বৃদ্ধা শান্তি হাজরার বাড়ি মামুদপুর গ্রামে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিঃসন্তান শান্তি দেবী ভাইপো বাপন হাজরার সঙ্গে থাকতেন। আর এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন। প্রায় দেড় বছর আগে কাকলি দেবীর বাড়িতে কাজে যোগ দেন। এদিকে কাকলি দেবীর স্বামী অসিত রায়ের সাথে মনোমালিন্য থাকায় কাকলি দেবী ডায়মন্ডহারবারে বাপের বাড়িতে থাকতেন।


এরপর প্রায় দু’বছর আগে অসিতবাবুর কাছে ফিরে আসে। কিন্তু সোমবার রাতেরবেলা শান্তিদেবীর বারাপুর এলাকা থেকে ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয়রা দাবী করেছেন যে, সোমবার সন্ধ্যাবেলা ৭ টা নাগাদ মামুদপুর থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে বারাপুর এলাকায় এক মহিলাকে রক্তমাখা অবস্থায় ছুটে পালাতে দেখা যায়।


তারপর এলাকাবাসীরা খোঁজ করতে গিয়ে দেখেন রাস্তার পাশের একটি জমিতে এক বৃদ্ধার ক্ষতবিক্ষত দেহ পড়ে রয়েছে। এরপরেই এলাকাবাসীরা ছুটে যাওয়া মহিলা অর্থাৎ কাকলি দেবীকে আটকে মন্তেশ্বর থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে শান্তি দেবীকে ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।


প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য ওই বৃদ্ধার শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে একাধিক বার আঘাত করায় অজস্র আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশ বারাপুরের এক বাসিন্দার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে কাকলি দেবীকে গ্রেপ্তার করেন। গতকাল ধৃতকে কালনা আদালতে তোলা হলে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজত হয়।

এদিকে পুলিশ কাকলি দেবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেও বিশেষ কিছু তথ্য উদ্ধার করতে পারেনি। এমনকি ঘটনাস্থলে গিয়েও কিছু খুঁজে পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে কাকলি দেবীর আচরণ অস্বাভাবিক লাগায় তার মানসিক অবস্থার ব্যাপারে চিকিৎসককের পরামর্শ নেওয়া হবে।

পাশাপাশি শান্তি দেবীর সাথে কাকলি দেবীর কোনো কারণে শত্রুতা ছিল কি না তা জানতে পুলিশও গোটা ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে। তবে এই খুনের ঘটনায় অসিতবাবু স্ত্রী কাকলি দেবীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মানতে চাননি। 

Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
May 2025
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031