পিঙ্কি পালঃ দক্ষিণ চব্বিশ পরগণাঃ আজ দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার সোনারপুরে তৃণমূলের এক জুন নেতাকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির এক নেতার বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য শুরু হয়।
সূত্রের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন থেকে বিষ্ণুপুর থানার আঁধারমানিক কালীপুরের বাসিন্দা মঙ্গল প্রামাণিকের সঙ্গে স্থানীয় বিজেপি নেতা দেবাশিস প্রামাণিকের বিবাদ ছিল। ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে তৃণমূল বুথ কমিটির কোষাধ্যক্ষ মঙ্গল যুক্ত ছিলেন। সেই সময় বিজেপি করার ফলে দেবাশিসের উপর হামলা চালিয়ে তাকে এলাকা ছাড়া করা হয়।
তাই কিছুদিন দেবাশিস বাড়ি ছাড়া থাকলেও পরে এলাকায় ফিরে আসেন। এর মাঝে আবার দু’জনের মধ্যে বিবাদ চরমে ওঠে। রাজনীতির পাশাপাশি পারিবারিক বিবাদকে কেন্দ্র করে মঙ্গল ও দেবাশিস মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। গতকাল এই নিয়ে গ্রামে আলোচনা হলে সেখানে মীমাংসার পরিবর্তে দু’পক্ষের মধ্যে পুনরায় বিবাদ শুরু হয়ে যায়।
এদিন ভোরবেলা বিষ্ণুপুর ও সোনারপুর থানার সংযোগস্থলে তালপুকুর এলাকা দিয়ে মঙ্গল মাছের আড়তে যাওয়ার সময় দেবাশিস পিছন দিক থেকে কাঠ দিয়ে মাথায় আঘাত করতেই তার ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। দুই থানার পুলিশ খবর পেয়েই বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায়।
![- Sponsored -](https://indianprimetime.in/wp-content/uploads/2021/02/advertisehere.png)
- Sponsored -
এরপর পুলিশ মৃতদেহ দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে খুনের মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এর পাশাপাশি পুলিশ এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত দেবাশিস প্রামাণিককে গ্রেপ্তার করেছেন।
বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের পরিবহণ দফতরের প্রতিমন্ত্রী দিলীপ মণ্ডল জানান, ‘‘শান্তিপ্রিয় এলাকায় অশান্তকর পরিস্থিতি তৈরী করতে বিজেপির দুষ্কৃতী তৃণমূল নেতাকে খুন করেছে। আশা করি, অভিযুক্তের কঠোর শাস্তি হবে।’’
অন্য দিকে বিজেপির ডায়মন্ড হারবার জেলার সহ সভাপতি সুফল ঘাঁটু এই অভিযোগ উড়িয়ে বলেন, ‘‘পারিবারিক বিবাদের জেরে এই খুনের ঘটনা। সেখানে রাজনীতির কোনো যোগ নেই। তৃণমূল রং চড়িয়ে প্রচার পাওয়ার চেষ্টা করছে।’’