নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বর্ধমানঃ পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়ার শ্রীপুর দু’নম্বর কোলিয়ারি এলাকায় প্রায় ইসিএলের পরিত্যক্ত ভূগর্ভস্থ খনিতে পড়ে যাওয়া এক কিশোরকে ১১ ঘণ্টা পরে ১৪০ ফুট নীচ থেকে উদ্ধার করা হয়। এরপর আসানসোল জেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়।
১৬ বছর বয়সী ওই একাদশ শ্রেণীর পড়ুয়া মামার বাড়িতে থাকে। ওই বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে শ্রীপুর ভূগর্ভস্থ খনি অবস্থিত। যা দু’দশক আগে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সেখানে যাতে কেউ যেতে না পারে তাই ভূগর্ভে নামার খনিমুখ ১২ ফুট উঁচু পাঁচিল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। এখন ওই এলাকা ঝোপঝাড়ে ভরা।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, তার মানসিক সমস্যা আছে। সোমবার সন্ধ্যাবেলা তাকে দেখতে না পেয়ে খোঁজ শুরু করতেই খনির কাছে জামা-কাপড় পড়ে থাকতে দেখা যায়। নাম ধরে ডাকতেই সাড়াও পাওয়া যায়। তারপর পুলিশ, দমকল, ইসিএলের প্রতিনিধি ও বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের প্রতিনিধিরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছে উদ্ধারের কাজ শুরু করে।
ইসিএলের উদ্ধারকারী দলের সুপারিন্টেন্ডেন্ট অপূর্ব ঠাকুর জানান, “এই খনিমুখ প্রায় ১,৮০০ ফুট গভীর। ওই কিশোর প্রায় ১৪০ ফুট নীচে থাকা দু’টি পাইপে আটকে ছিল। স্থানীয় দুই যুবক নীচে নামতে চাওয়ায় ভোরবেলা সাড়ে ৫ টা নাগাদ স্থানীয় দুই যুবককে কোমরে সেফটি বেল্ট বেঁধে ক্রেনের সাহায্যে নীচে পাঠানো হলে সকালবেলা ৬ টা নাগাদ ওই কিশোরকে ওই যুবকরা নিরাপদে উপরে তুলে আনেন”।
প্রাথমিক তদন্তের পরে ইসিএল আধিকারিকদের অনুমান, সম্ভবত দুষ্কৃতীরা পাঁচিলের একাংশ গোল করে কেটে ভিতরে যাওয়ার রাস্তা তৈরী করায় ওই কিশোর খনির কাছে যেতে গিয়ে পড়ে গিয়ে থাকতে পারে।