নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মেদিনীপুরঃ অনেকেই ফ্যাকাশে মাছ পছন্দ করেন না। তাই মাছ বিক্রেতারাও মাছকে টাটকা রাখতে অনেক পন্থা অবলম্বন করেন। মাছের সতেজতা ফেরাতে রঙ ও ফরমালিন মেশানো জলে মাছ চুবিয়েও রাখেন। এতে মাছগুলিও তাজা থাকে। আর দুর্গন্ধও থাকে না। আর এমনই বেশ কিছু চিত্র পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি, দিঘা, এগরা, তমলুক, রামনগর সহ বহু বাজারে দেখা গেলো।
এক মাছ বিক্রেতা জানান, ‘‘রঙহীন ফ্যাকাশে মাছ ক্রেতাদের পছন্দ নয়। ফলে সেই মাছকে রং মিশিয়ে দিতে টাটকা দেখিয়ে বিক্রি করতে হয়। অনেকে মাছের কানকোর রঙ দেখে টাটকা কিনা যাচাই করেন। সেই জন্য রঙ মেশানো হয়। এতদিন ধরে তো এটাই চলে আসছে। প্রশাসনেরও তো কেউ দেখতে আসেনা। এছাড়া ভয় করলে ব্যবসা করা যাবে না’’।
দিনে দুপুরে কেবল মাছ নয় শাক-সব্জিতেও তাজা-টাটকা ভাব বজায় রাখতে বিভিন্ন বাজারে অবাধে রায়ায়নিক থেকে কৃত্রিম রঙ মেশানো হচ্ছে। যা খাদ্যগুণ নষ্টের পাশাপাশি শরীরের পক্ষেও অত্যন্ত ক্ষতিকর। এক্ষেত্রে ক্যানসার, কিডনি রোগ, গর্ভস্থ ভ্রূণনাশের মতো একাধিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অথচ এই নিয়ে কোথাও প্রশাসনের নজরদারী নেই।
জেলা এবং মহকুমা ভিত্তিক খাদ্য নিরাপত্তা দপ্তরের মার্কেটিং বিভাগের টাস্কফোর্স ও পুলিশ প্রশাসনকে নিয়ে বিভিন্ন বাজার এলাকায় নজরদারী চালানোর কথা। খাদ্যে ভেজাল আটকাতে এলাকার দোকান-বাজারগুলিতে অভিযানের নির্দেশও রয়েছে। কিন্তু আদপে কারোর দেখাই পাওয়া যায় না।
জেলা মার্কেটিং বিভাগের আধিকারিক মিতা সাহা এই বিষয়ে বলেন, ‘‘আমাদের কাছে এই ধরনের কোনো তথ্য নেই। তবে দ্রুত এলাকায় নজরদারী চালানো হবে। প্রয়োজনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপও গ্রহণ করা হবে’’।