অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ একদিকে যেমন চিকিৎসক তেমনি পুলিশ আধিকারিকরাও করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। কোনো থানায় অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর সহ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ জন আবার কোনো থানায় দুই, তিন, পাঁচ বা সাত হলেও অনেকের মধ্যেই করোনা উপসর্গ রয়েছে। শহরের বিভিন্ন ট্র্যাফিক গার্ডেও একই অবস্থা।
করোনার সংক্রমণের প্রথম থেকেই চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশাপাশি পুলিশকেও সামনের সারিতে থেকে কাজ করতে হচ্ছে। ফলে করোনার প্রথম ঢেউয়ে কলকাতা পুলিশ বাহিনীতে কয়েক হাজার কর্মী আক্রান্ত হয়েছিলেন। বেশ কয়েক জনের মৃত্যুও হয়েছিল। দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে কম হলেও তৃতীয় ঢেউয়ে আপাতত ১২০ জন পুলিশ কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন।
আক্রান্তদের মধ্যে লালবাজারের এক জন অতিরিক্ত কমিশনার, এক জন যুগ্ম কমিশনার, ডিসি ডিডি (স্পেশাল) সহ একাধিক আইপিএস অফিসার, অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর, সাব ইনস্পেক্টর এবং কনস্টেবল রয়েছেন।
আর কলকাতা পুলিশের ট্র্যাফিক বিভাগের আধিকারিকেরা সব থেকে বেশী আক্রান্ত হয়েছেন। কসবা, গল্ফ গ্রিন পার্কস্ট্রিট, বড়বাজার, মানিকতলা, একবালপুর সহ একাধিক থানায় পুলিশকর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন। এদের সকলকেই হোম আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছে।
কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের একাংশের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠছে যে, প্রথম অথবা দ্বিতীয় ঢেউয়ে প্রতি সপ্তাহে দু’-তিনটে করে পাঁচ লিটারের স্যানিটাইজ়ারের বোতল পাঠানো হত। এখন সেটাও পাওয়া যাচ্ছে না। থানা ও ট্র্যাফিক গার্ডের পুলিশকর্মীরা আক্রান্ত হলেও থানা জীবাণুমুক্ত করতে লালবাজার থেকে চেয়েও কোনো জীবাণুনাশক মিলছে না।
তাই কার্যত বাধ্য হয়েই নিজেরাই জীবাণুনাশকের ব্যবস্থা করতে বাধ্য হচ্ছেন। তবে লালবাজারের কর্তারা এই অভিযোগ অস্বীকার করে একজন পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘যথেষ্ট পরিমাণ জীবাণুনাশক আছে। থানার তরফ থেকে চাহিদা অনুযায়ী যতো পরিমাণ চাওয়া হচ্ছে সেই অনুযায়ী পাঠানো হচ্ছে’’।