নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বর্ধমানঃ পশ্চিম বর্ধমানের সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির তরফে মাইথনে ঢোকার মুখে টোল আদায়কে কেন্দ্র করে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে। জোর করে টাকা আদায়ের অভিযোগও উঠছে। জানা যাচ্ছে, অটো থেকে ৫০ টাকা, ছোটো চারচাকা গাড়ি থেকে ১২০ টাকা ও বড়ো বাস অথবা ট্রাক থেকে ২৫০ টাকা করে টোল নেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি বছরই মাইথন লাগোয়া দেন্দুয়া পঞ্চায়েতের সিদাবাড়ি, বাথানবাড়ি, থার্ড ডাইক সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় বহু পর্যটক পিকনিক করতে আসেন অনেকে। সেক্ষেত্রে সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতি বিভিন্ন গাড়ি থেকে টোল আদায় করে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
অভিযোগ উঠছে যে, শুধুমাত্র পিকনিকে আসা গাড়ি থেকে টোল আদায়ের নির্দেশ রয়েছে। কিন্তু স্থানীয়দের কাছ থেকেও জোর করে অত্যধিক হারে টোল আদায় করার পাশাপাশি প্রশাসনিক কাজে যুক্ত আধিকারিকদের কাছ থেকেও টোল আদায় করা হচ্ছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
এছাড়া ২৫ শে ডিসেম্বর থেকে টোল আদায় করার কথা বলে প্রায় ১৫ দিন আগে থেকেই টোল আদায় করা হচ্ছে। এমনকি যেখানে থার্ড ডাইক বাঁকের মুখে টোলকেন্দ্র বসানোর কথা সেখানে কল্যাণেশ্বরীর পরে মাইথন লেফট ব্যাঙ্ক আবাসন কলোনির পাশে ডিভিসির রাস্তায় টোল বসানোয় মাইথন জলাধারে যাওয়ার পথে সমস্ত গাড়িকেই টোল দিতে হচ্ছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ফাল্গুনী কর্মকার ঘাসি জানান, “শীতের মরসুমে দেন্দুয়া পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকায় পিকনিকের দল আসে। বহিরাগতদের জন্য পানীয় জল, সাফ-সাফাই, শৌচাগারের ব্যবস্থা সহ নানা নাগরিক পরিষেবা দিতে হয়। ফলে পঞ্চায়েত সমিতির অনেক টাকা খরচ হয়। এই খরচ তুলতে পিকনিক দলের গাড়ি থেকে টোল আদায় করা হয়”।
তবে বিডিও (সালানপুর) অদিতি বসু বলেন, “টোল আদায়ের দায়িত্ব পাওয়া সংস্থাটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে পিকনিক দলের গাড়ি ছাড়া অন্য আর কোনো গাড়ি থেকে টোল আদায় করা যাবে না। স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষেত্রে ঠিকানা-পরিচয় বলা মাত্রই ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু ব্লক প্রশাসন এবং পঞ্চায়েত সমিতির তরফ থেকে এই নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগ ওঠায় টোল আদায়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার আধিকারিককে ডেকে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা যাচাইকরা হবে। এই অভিযোগ ঠিক থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে”।
পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি তথা সিপিএম নেত্রী শিপ্রা মুখোপাধ্যায় এই বিষয়ে জানিয়েছেন, “আমাদের সময়ে ভ্রমণকেন্দ্রে নাগরিক পরিষেবার জন্য টোল আদায়ের দরকার পড়েনি। এই টোল আদায়ের ক্ষেত্রে দুর্নীতি করা হচ্ছে”।