নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নদীয়াঃ প্রতি সপ্তাহে মঙ্গল্বার ও শুক্রবার নদীয়ার চাকদহ ব্লকের ঘেঁটুগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের কালীবাজার মণ্ডলহাটে হাট বসে। আর সেই হাটেই ফল-মূল, শাক-সব্জি এবং মাছ-মাংসের সাথে কচ্ছপ বিক্রি হচ্ছে। উত্তর চব্বিশ পরগণার বনগাঁ থেকে এই কচ্ছপ আসে।
কচ্ছপ কেনা বেআইনী জেনেও ৫০০ টাকা কেজি দরের কচ্ছপের মাংস কিনতে বিভিন্ন জায়গা থেকে বহু ক্রেতা আসেন। এই কচ্ছপ বিক্রি করতে কোনো বাধার মুখে পড়তে হয়নি। এছাড়া প্রতি শীতেই বনগাঁ মহকুমার বেশীর ভাগ বাজারে প্রকাশ্যে বা গোপনে কচ্ছপ বিক্রি করা হয়।
সম্প্রতি উত্তর চব্বিশ পরগ্ণার বনকর্তারা গাইঘাটার পাঁচপোতা বাজার থেকে চার জন কারবারিকে ১০০ টি কচ্ছপ সহ গ্রেপ্তার করেছিলেন। পুলিশ সূত্রের জানা গেছে, মূলত শীতের সময়ে ট্রাক ও ম্যাটাডরে মাছের ট্রের মধ্যে গুজরাত, রাজস্থান এবং উত্তরপ্রদেশ থেকে কচ্ছপ আসে।
এরপর সেই কচ্ছপ চাঁদপাড়া, পাঁচপোতা ও ঠাকুরনগর সহ বিভিন্ন এলাকায় তা মজুত করা হয়। পরে তা নদীয়া এবং বাংলাদেশে চলে যায়। রানাঘাট বন দপ্তরের আধিকারিক প্রদীপ বাগচি বলেন, “এভাবে কচ্ছপ বিক্রি করা যায় না। এটা আইন বিরুদ্ধ কাজ। অবিলম্বে বাজারে অভিযান চালানো হবে। পুলিশের পক্কষ থেকেও কচ্ছপ বিক্রেতাদের গ্রেপ্তার করা হবে”।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, পুলিশ ও সিআইডি বনগাঁ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে কচ্ছপ পাচার চক্রের খোঁজ পেয়েছে। সীমান্ত দিয়ে কচ্ছপের বাদিও পাচার হয়। এর আগে সিআইডি পেট্রাপোল সীমান্ত থেকে আন্তর্জাতিক এক পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছিল।