নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বাঁকুড়াঃ বাঁকুড়ার সোনামুখীর রাঙামাটিতে দামোদর নদ থেকে নদীর মাঝে যন্ত্র বসিয়ে পাইপ দিয়ে বালি তুলে তা ট্রাক বোঝাই করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠছে। কিন্তু জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, এলাকায় বালিঘাট পরিদর্শনে গিয়ে তেমন কিছু নজরে আসেনি।
এলাকাবাসী্রা জানাচ্ছে, ‘‘বেআইনী বালি কারবারিরা প্রশাসনিক অভিযানের খবর আগাম পেয়ে গিয়ে সতর্ক হয়ে যান। কিন্তু পরে আবার রমরমিয়ে বালি পাচারের কারবার চলতে থাকে। সন্ধ্যার সময় দামোদরের বালির চরে বেশ কিছু ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকে। সারারাত ধরে যন্ত্র দিয়ে বালি বোঝাই করা হয়’’।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
একজন নিত্য পথযাত্রীর অভিযোগ করেন যে, ‘‘রাঙামাটির ফেরিঘাট দিয়ে দুর্গাপুর যাতায়াত করার সময় দেখা যায় নদীর গভীর থেকে পাইপ দিয়ে বালি তোলায় বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় গর্ত তৈরী হচ্ছে। নদীর জল কমে গেলেও সেগুলি মরণকূপের মতো থেকে যাচ্ছে। প্রশাসনকে সক্রিয় হওয়া দরকার’’।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
বিষ্ণুপুর মহকুমার ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক ফাল্গুনী সৎপতি অবশ্য জানান, ‘‘নদীর পাড় থেকে একশো মিটার দূরে বা মোট বালির চরের এক তৃতীয়াংশের বেশী বালি তোলা নিষিদ্ধ। এমনকি নদী থেকে যন্ত্র দিয়ে বালি তোলা কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ। এই বিষয়ে খাদান মালিকেরা অবগত।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
পাইপ অথবা যন্ত্র দিয়ে ঘাট থেকে বালি বোঝাই করা যায় না। আর সেই কাজ করলে লিজ় হোল্ডারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। প্রয়োজনে লাইসেন্স অবধি বাতিল হয়ে যেতে পারে।
পাইপ কিংবা কোনো যন্ত্র দিয়ে বালি তোলার কোনো অভিযোগ আপাতত আসেনি। এই বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশ মেনে গোটা বিষয়ে তদন্ত করা হবে”।