নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মুর্শিদাবাদঃ মুর্শিদাবাদ থানা এলাকার ডাহাপাড়ার কমলা পুষ্করিণী এলাকায় পানীয় জল থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে গোটা গ্রাম আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে অসুস্থ হয়ে মোট ১৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৩৯ বছর বয়সী ফেন্সি মণ্ডল নামে এক জনের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার ভোরবেলায় ফেন্সিবাবু হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন। সকালবেলা ছ’টা নাগাদ অসুস্থতা বাড়লে একজন গ্রামীণ চিকিৎসককে নিয়ে আসতেই ততক্ষণে মারা গেছে। এরপর তার দুই ছেলে অসুস্থ হওয়া মাত্রই আজিমগঞ্জ এজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তারপর একে একে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে। এই মুহূর্তে দুই জন মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে, চার জন লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে ও বাকি ১৩ জন আজিমগঞ্জ এজি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
এই ঘটনার পর মুর্শিদাবাদ-জিয়াগঞ্জ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সহ স্বাস্থ্য দপ্তরের বিশেষ একটি দল এলাকায় এসে পৌঁছেছে। স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, “প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে গ্রামের বড়ো পুকুরের পাশে একটি পানীয় জলের টিউবয়েল রয়েছে। এখানে কোনো সংক্রমণের কারণেই এই ঘটনাটি ঘটেছে”।
ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য দপ্তরের থেকে ওই টিউবয়েলের জল পান করতে বারণ করা হয়েছে। আর পুকুরে নামার বাঁধানো ঘাটের মুখ বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কলের জলও পরীক্ষা করা হচ্ছে।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি বিশেষ দল গঠন করা্আর পাশাপাশি আজিমগঞ্জ এজি হাসপাতালে বেড সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে রয়েছে। পুরো গ্রামে ওআরএস এবং ওষুধ দেওয়া হয়েছে। জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভা থেকে জলের ট্যাঙ্কার করে আর্সেনিক মুক্ত পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছানো হয়েছে।
ডাহাপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান মাবের আলী এই বিষয়ে বলেছেন, ‘‘আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় পঞ্চায়েতের তরফ থেকেও বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা গ্রামের বাসিন্দাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সচেতন করছি”। জল নিয়ে দুর্ভোগের কারণে সমগ্র গ্রাম জুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরী হয়েছে।