মিনাক্ষী দাসঃ উত্তর চব্বিশ পরগণাঃ উত্তর চব্বিশ পরগণার সোদপুরের টেলিফোন এক্সচেঞ্জ সংলগ্ন জয়প্রকাশ কলোনীতে এক যুবককে অপহরণের পর খুন করে দেহ লোপাটের জন্য মৃতদেহ দুই টুকরো করে গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়ার ঘটনায় এলাকায় তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। মৃত ১৮ বছর বয়সী রাহুল ঝাঁ।
সূত্রের ভিত্তিতে জানা গেছে, রাহুলের বাপ্পা কর নামের একজনের সাথে খুব ভালো বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। এমনকি বাপ্পার ফোন খারাপ হয়ে যাওয়ায় রাহুল বাপ্পাকে নিজের ফোন দেয়। এই সূত্রে রাহুলেরও বাপ্পার বাড়িতে অবাধ যাতায়াত ছিল। আর এরইমধ্যে রাহুল বাপ্পার স্ত্রীর সাথে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ে।
এছাড়া ১ লা ডিসেম্বর দুপুরবেলা রাহুল পুরসভায় আধার কার্ড ও প্যান কার্ড নিয়ে বের হলে আর বাড়ি ফেরেনি। পরিবারের তরফ থেকে খড়দহ থানায় নিখোঁজ ডায়েরী করা হয়।
এরপর রাহুলের ফোন বাপ্পা অন্য একজনের হাত দিয়ে বাড়ি পাঠালে দু থেকে তিন দিন পর পরিবারের সদস্যরা ফোনের অটো কল রেকর্ডিং অপশন চালু করতেই জানতে পারে যে রাহুলের সাথে বাপ্পার স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্কের কথা। এমনকি বাপ্পা ফোনে স্ত্রীকে বলছে যে সে রাহুলকে বেঙ্গল কেমিক্যালের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
এতেই পরিবারের সন্দেহ হয় যে রাহুলকে বাপ্পাই মেরে ফেলেছে। তারপর সমগ্র বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্তে নেমে বাপ্পা ও সুশান্ত নন্দীকে গ্রেপ্তার করেছে।
আর পুলিশী জেরায় অপহরণের পর খুনের কথা স্বীকারও করেছে। গতকাল অভিযুক্তদের ব্যারাকপুর মহকুমা আদালতে পেশ করার পর পুলিশী হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।