নিজস্ব সংবাদদাতাঃ জলপাইগুড়িঃ জলপাইগুড়ি রাজগঞ্জের তোতাইগজ এলাকায় বিএসএনএলের এক অস্থায়ী কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে এলাকা জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ৪৫ বছর বয়সী বীরেন্দ্রনাথ রায় গত ১০ বছর থেকে বিএসএনএলের ফাটাপুকুর এক্সচেঞ্জে অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু গত ১০ মাস ধরে বেতন না পেয়ে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। সংসার চালাতেও হিমশিম খাচ্ছিলেন।
বীরেন্দ্রনাথবাবুর মৃত্যুর খবর চাউর হতেই এই ঘটনার প্রতিবাদে তৃণমূল প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠনের কর্মী-সমর্থকরা বিএসএনএলের বিভাগীয় দপ্তর ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। মৃতের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবীও তোলা হয়।
সংগঠনের সভাপতি স্বপন সরকার বলেন, ‘‘১০ মাসের বেশী অস্থায়ী কর্মীরা বেতন পাচ্ছেন না। বেতন না পেয়ে ছ’মাস আগে পঙ্কজ রায় নামে আরো একজন অস্থায়ী কর্মী এরকম ভাবে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন। পর পর একই ঘটনার জন্য বিএসএনএল কর্তৃপক্ষই দায়ী”।
বিএসএনএল এর বিভাগীয় ইঞ্জিনিয়ার রজত সোম এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘‘এই মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। এই বিষয়টি ঊর্ধ্বতনন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। যাতে ভবিষ্যৎ এ আর এমন কোনোরকম ঘটনা না ঘটে এর জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে’’।