নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মালদাঃ দশভুজা রূপে মা দুর্গা অধিষ্ঠান করলেও দশটি বাহু অস্ত্র সজ্জিত ও দশটি মস্তক বিশিষ্ট মা কালীরও প্রাচীন কাল থেকে পুজো হয়ে থাকে মালদার ইংরেজবাজারে। নিয়ম-নীতি মেনে সাড়ম্বরে এই পুজো পালিত হয়। চলতি বছর এই পুজো ৮৮ বছরে পদার্পণ করলো।
জানা যায়, ১৯৩০ সালে পুড়াটুলি এলাকার বাসিন্দারা ইংরেজদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ব্যায়াম সমিতি গড়ে তুলেছিলেন। এরপর যুব সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করার তাগিদেই মাতৃ আরাধনা শুরু হয়েছিল। সেই থেকেই নিষ্ঠা সহ দশটি মস্তক মহাকালীর আরাধনা চলে আসছে।
ব্যায়াম সমিতির প্রধান উদ্যোক্তা বিপ্লবী কমলকৃষ্ণ চৌধুরীর হাত ধরেই দশটি মস্তক মহাকালীর আরাধনা শুরু হয়। আগে গোপনে পুড়াটুলি এলাকায় পুজো চলত। পরে বড়ো করে গঙ্গাবাগ এলাকায় পুজো শুরু হয়। আর ইংরেজরা এই পুজো বন্ধ করার অনেক চেষ্টা করলেও পারেনি।
অমাবস্যা শুরুর আগে অর্থাৎ চতুর্দশীতে দিনের বেলায় এই দশভুজা মহাকালীর পুজো হয়। বিকেলে পাঁঠাবলি হয়। দশ দেবীর শক্তিকে একত্রিত করার জন্য এমন প্রতিমা তৈরী করা হয়েছিল। এই মাতৃ প্রতিমায় কোনো শিব থাকে না। শুধু মাত্র মহাশক্তিরই আরাধনা করা হয়।
শ্রী শ্রী চণ্ডী গ্রন্থে এই দশভুজা মহাকালীর উল্লেখ পাওয়া যায়। এমনকি বিহারের বিন্দুবাসিনীতে পাহাড়ের গায়েও এই দশভুজা দেবীমূর্তি খোদাই করা রয়েছে।